রোহিঙ্গা ইস্যুতে 'বড় দাদা' ভারতের সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রোহিঙ্গা ইস্যুতেও ভারতের সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহ্যের বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ হয়ে উঠল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী স্থল। দুই দেশের নেতৃত্বই একে অপরের সঙ্গে মৈত্রী, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের কথা তুলে ধরলেন। ভাষণ দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের উপরে বক্তৃতা না করে নিজের মনের কথা উজার করে দিলেন শেখ হাসিনা।
ভারত বড় দাদা, বন্ধু ও দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকের ছিটমহল, সব জায়গাতেই ভারতের সাহায্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতেও ভারতের সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, আমরা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। মানবতার খাতিরেই তাঁদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে। তবে আশা করছি মায়ানমার সরকার তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে।
বাংলাদেশ সরকার আগেই জানিয়েছে যে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে ভিড় করা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে আন সান সু চি-র সরকারকে। তবে এখনও পর্যন্ত মায়ানমার সরকার সেভাবে ব্যবস্থা নেয়নি। আর এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
আর তাই শেখ হাসিনা সরাসরি ভারতে এসে এদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাহায্য চাইলেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে ভারত সু চি সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশের হয়ে মধ্যস্থতা করুক, এমনটাই চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন ভাষণের শুরু থেকে শেষ প্রতিটি লাইনে ভারত স্তুতি করতে দেখা গিয়েছে হাসিনা সরকারকে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলাদা করে কিছু না বললেও হাসিনা যে মৈত্রীর পথে হেঁটেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তা ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন।