মেট্রোতে কেন হিন্দি, প্রশ্ন তুলে বেঙ্গালুরুতে আন্দোলন
ব্যাঙ্গালোর মেট্রোয় কানাডা ও ইংরেজির সঙ্গে হিন্দির ব্যবহার নিয়ে বিরোধিতা একাধিক সংগঠনের। চলছে অনলাইনে প্রচার। বিতর্ক নিরসনে বিষয়টি কেন্দ্রের কাছেই পাঠিয়েছে ব্যাঙ্গালোর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ
ফের ভাষা নিয়ে লড়াই দক্ষিণ ভারতে। ১৭ জুন রাষ্ট্রপতির হাত ধরে বেঙ্গালুরু মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধনের পর থেকেই বিতর্কটা শুরু হয়েছে। টার্গেটে ব্যাঙ্গালোর মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন।
কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের পাঠানো নির্দেশিকা অনুযায়ী মেট্রো স্টেশনগুলির ভিতরে ও বাইরের সাইনবোর্ড গুলিতে হিন্দির সঙ্গে সঙ্গে কানাডা এবং ইংরেজির ব্যবহার থাকলেও, হিন্দির ব্যবহার ব্যবহার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কানাডা রক্ষণা বেদিকা নামে একটি সংগঠন। সংগঠনের নেতা নারায়ণ গৌড়া বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্গালোর মেট্রোর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। মেট্রোর সাইনবোর্ডে হিন্দির ব্যবহারের বিরোধিতা করে অনলাইনে "নম্মো মেট্রো হিন্দি বেদা" অর্থাৎ মেট্রোতে হিন্দি বিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছে।
কানাডা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ব্যাঙ্গালোর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের পাঠানো তিন ভাষা তত্ত্বের কথাই জানিয়েছেন। একটি সংসদীয় কমিটি বিষয়টি দেখে গেছে বলেও জানিয়েছেন ব্যাঙ্গালোর মেট্রোর প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক। চেন্নাই মেট্রোয় ইংরেজি এবং তামিল, এই দুই ভাষা ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি জানান, মন্ত্রকের নির্দেশ অমান্য করেছে চেন্নাই মেট্রো। ব্যাঙ্গালোর মেট্রো কর্তৃপক্ষ রাজ্যের মাধ্যমেই বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
দক্ষিণ ভারতে ভাষা নিয়ে লড়াই নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার আগে এবং পরেও এই ধরনের লড়াই জারি থেকেছে। স্বাধীন ভারতে রাষ্ট্রভাষা হিন্দি নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। ১৯৬৪ সালের শেষের দিকে সারা দেশেই কেন্দ্রের তরফে ইংরেজি বন্ধ করার চেষ্টা হয়। ১৯৬৫-র ২৬-এ জানুয়ারি হিন্দিকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রতিবাদ অনেক জায়গায়ই হিংসাত্মক আকার নেয়। পরে কেন্দ্রের তরফে সরকারিকাজে হিন্দির সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজির ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।