বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত রেস্তোরাঁয় আইইডি বিস্ফোরণ, মৃত ১, আহত ১
বেঙ্গালুরু, ২৯ ডিসেম্বর : উৎসবের মরশুমে আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বেঙ্গালুরু। রবিবার রাতে চার্চ স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁর বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। আহত হয়েছেন আরও একজন।
যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কম তীব্রতাসম্পন্ন এই বিস্ফোরণটি হয়েছে রাত সাড়ে আটটা ও ন'টার মধ্যে ঘটেছে। জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ কোকোনাট গ্রুভের সামনে ঘটেছে ঘটনাটি। এই ঘটনায় ভবানীদেবী নামে এক বছর ৩৮-এ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বড়দিন পালন করতে চারদিন আগেই তিনি শহরে এসেছিলেন বলে সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়েছে, বিস্ফোরক রেস্তোরাঁর সামনে একটি নালায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় একজন মারা গেলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশি ছিল না। মৃতার একদম সামনে এই বিষ্ফোরণটি হওয়ায় মাথায় আঘাত পেয়েই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের তরফেও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় পানওয়ালা ও রেস্তোরাঁর নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উৎসবের মরশুমে সাধারণ যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে, এক্ষেত্রেও তাই হয়েছো।
তদন্তে
কেন্দ্রীয়
সংস্থা
এনআইএ
এই
বিস্ফোরণের
পিছনে
কারা
আছে
তা
জানতে
কেন্দ্রীয়
সংস্থার
সাহায্য
চেয়েছে
বেঙ্গালুরু
পুলিশ।
এনআইএ-এ
একটি
দল
চার্চ
স্ট্রিট
বিস্ফোরণের
বিষয়টির
তদন্ত
করবে।
এক
এনআইএ
আধিকারিক
জানিয়েছেন,
কী
জন্য
বিস্ফোরণ
হয়েছে
তা
এখনই
বলা
সম্ভব
না।
তবে
প্রাথমিক
তদন্তে
মনে
করা
হচ্ছে
চেন্নাই
বিস্ফোরণের
ক্ষেত্রে
বিস্ফোরণের
ক্ষেত্রে
যে
বস্তু
ব্যবহার
করা
হয়েছিল
এক্ষেত্রেও
তাই
ব্যবহার
করা
হয়েছে।
মেহেদি
মাসরুর
বিশ্বাসের
গ্রেফতারের
জবাবে
এই
বিস্ফোরণ
কি
না
তাও
খতিয়ে
দেখা
হবে
বলে
জানিয়েছেন
ওই
আধকারিক।
আইবি
রিপোর্ট
গোয়েন্দারা
এই
বিস্ফোরণকে
জঙ্গি
হানা
বলেই
চিহ্নত
করতে
চাইছেন।
তাদের
মতে
উদ্দেশ্য
ছিল
মানুষের
মধ্যে
আতঙ্ক
ছড়িয়ে
দেওয়া।
এবং
জনবহুল
এলাকায়
এই
বিস্ফোরণ
ঘটানো
যাতে
মানুষের
মধ্যে
আতঙ্ক
বাড়ে।
সাধারণ
কম
তীব্রতা
সম্পন্ন
বিস্ফোণের
ক্ষেত্রে
এই
ধরণের
মানসিকতাই
কাজ
কে।
কড়া
নিরাপত্তা
জারি
বড়
শহরগুলিতে
রবিবারের
বিস্ফোরণের
পর
কড়া
সতর্কতা
জারি
করা
হয়েছে
শহরজুড়ে।
বেঙ্গালুরুর
পাশাপাশি
অন্যান্য
মেট্রো
শহরগুলিতেও
কড়া
নিরাপত্তা
জারি
করা
হয়েছে।
নিউ
ইয়ার
উদযাপনের
সময়ে
ভিড়
জায়গায়
জঙ্গিরা
বড়সড়
কোনও
বিস্ফোরণ
ঘটাতে
পারে
বলে
মনে
করা
হচ্ছে।
রবিবারের ঘটনার তদন্তে নেমে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফুটেজে কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে এই ঘটনার আদৌ কোনও যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আতঙ্কিত
হবেন
না,
গুজব
রটাবেন
না,
অনুরোধ
বেঙ্গালুরু
পুলিশের
চার্চ
স্ট্রিটের
বিস্ফোরণের
পাশাপাশি
আরও
দু-তিনটি
জায়গায়
বিস্ফোরণের
ঘটার
সংবাদ
ছড়িয়ে
পডে়।
তবে
পুলিশের
তরফে
তা
গুজব
বলে
উড়িয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর
পুলিশ
কমিশনার
এম
এন
রেড্ডি
সাধারণ
মানুষের
কাছে
আর্জি
জানিয়েছেন,
অন্য
জায়গায়
বিস্ফোরণ
হয়েছে
বলে
গুজব
না
ছড়াতে।
তিনি
জানিয়েছেন,
চার্চ
স্ট্রিট
ছাড়া
এদিন
অন্য
কোথাও
কোনও
বিস্ফোরণ
হয়নি।
বিস্ফোরকের
সঙ্গে
টাইমার
?
সূত্রের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
বোমার
সঙ্গে
টাইমার
লাগানো
ছিল।
প্রাথমিক
তদন্তে
মনে
করা
হচ্ছে
টাইমারে
বিস্ফোরণের
সময়
রাত
৮টা
৪৫
মিনিটের
সময়
রাখা
হয়েছিল।
বিস্ফোরণে
সিমি
যোগ
খতিয়ে
দেখছে
পুলিশ
তদন্তে
সমস্ত
সম্ভাবনাই
খতিয়ে
দেখছে
পুলিশ।
খান্ডওয়া
জেল
থেকে
পালানো
পাঁচ
সিমি
সদস্যের
এই
বিস্ফোরণে
হাত
রয়েছে
কিনা
তাও
খতিয়ে
দেখছে
পুলিশ।
কারণ
গত
বছর
জেল
থেকে
পালানোর
পর
তাদের
এখনও
পর্যন্ত
হদিশ
পায়নি
পুলিশ।
বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে সিমি যোগ নিশ্চিত করে বলা না গেলেও এই বিষয়ে আইবি এবং মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব।
গোয়েন্দাদের
অসাফল্য
নয়,
জানালেন
কর্ণাটকের
মুখ্যমন্ত্রী
বিস্ফোরণের
পরই
ঘটনাস্থলে
যান
কর্ণাটকের
মুখ্যমন্ত্রী
সিদ্ধরামাইয়া।
তিনি
জানিয়েছেন,
"গোয়ন্দাদের
এক্ষেত্রে
আমরা
অসফল
বলতে
পারি
না,
কারণ
এবিষয়ে
আগাম
কোনও
সূত্র
পাওয়া
যায়নি।
পুলিশ
তাদের
যথাসাধ্য
করেছে।"
আজ সকাল ১০ টায় এই পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে আলোচনার জন্য সিদ্ধারামাইয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন।