গুজরাতে বাড়ছে বন্ধনী শিল্পের চাহিদা, অন্ন সংস্থান করছে হাজার হাজার মানুষের
গুজরাতে বাড়ছে বন্ধনী শিল্পের চাহিদা, অন্ন সংস্থান করছে হাজার হাজার মানুষের
বন্ধনী তৈরির মাধ্যমে বহু মানুষের অন্য সংস্থান হচ্ছে গুজরাতের জামনগরে। জানা গিয়েছে এমনভাবে এই শিল্পের মাধ্যমে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের রোজগার হচ্ছে। বন্ধনী একটি বিশেষ ধরনের শিল্প। এটি শাড়ি, দুপাট্টা এবং স্টোল তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। আর সেটা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এই শহরের বিশেষ পরিচয় দিচ্ছে। এখানে পুরুষরা এখানে ধোয়ার কাজ করেন। তবে সবথেকে শক্ত কাজ করেন মহিলারা। অর্থাৎ এই যে শিল্প তা হস্তশিল্পের কাজ সেটা করেন মহিলারা।
৭৫ শতাংশ কাজটাই করেন মহিলারা
বন্ধনী তৈরির কাছে ৭৫ শতাংশ কাজটাই করেন মহিলারা। তারপর সেটিকে ভালো করে বাঁধা থেকে শুরু করে হাতের কাজ সবটা করেন মহিলারা। শিল্পীরা জানাচ্ছেন এই শিল্প প্রায় ৫হাজার বছরে বেশি পুরনো। বলা হচ্ছে এই শিল্প ছিল মহাভারতের সময়েও। শিল্পীরা বলছেন তাঁর এর গল্প শুনেছেন তাদের পূর্ব পুরুষের থেকে।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হয় কাজ
তবে এই শিল্পে কোনও হিন্দু মুসলিম নেই। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ এখানে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। অনেকেই এমন আছেন যারা প্রায় সাত আট পুরুষ ধরে এই পারিবারিক ধারা এগিয়ে চলেছেন।
বাড়িতেই হয় এই কাজ
এই কাজ হয় শুধুমাত্র বাড়িতে। জামনগরের মানুষরা এর উপরেই নির্ভরশীল। অন্তত ৫০ হাজার মানুষের পেট চালায় এই শিল্প। তাঁরা জানাচ্ছেন সরকারও চেষ্টা করছে যে কীভাবে এই শিল্পকে কীভাবে আরও উন্নত করা চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক স্তরে কীভাবে এটিকে নিয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলছেন যদিও এতে কোনও মেশিনের ব্যবহার নেই কাজ হয় পুরো হাতে তা স্বত্বেও মহিলার এবং পুরুষ উভয় পক্ষই এখানে দুরন্ত ভাবে কাজ করেন।
রঙের ব্যাবহার
বছর
পঞ্চাশ
আগে,
"আগে
ডাই
করার
জন্য
কেমিক্যাল
ব্যাবহার
করা
হত।
কিন্তু
বাইরে
যাবার
জন্য
বেশি
চাহিদা
পরিবেশ
বান্ধব
রঙের।
সরকার
বলেছে
যে
এগুলো
চাহিদা
মতো
যে
ইন্ডাস্ট্রিগুলো
আছে
সেগুলো
চালায়।
এর
ফলে
৯৫
শতাংশ
এখন
ওই
পরিবেশ
বান্ধব
রঙ
দিয়েই
তৈরি
হয়।
কেমিক্যাল
রঙে
চামড়ায়
এলারজি
হয়
তাই
এতে
ভারতীয়দের
সঙ্গে
বিদেশেও
সমস্যা
হয়।
তাই
ওই
পরিবেশ
বান্ধব
রঙ
ব্যবহার
করা
হয়।
এর
চাহিদা
বাইরের
দেশেও
প্রচুর
রয়েছে।
আসলে
সেখানে
যারা
মারোয়ারি
এবং
গুজরাতি
রয়েছেন
তাঁরা
এটা
ব্যবহার
করে
থাকেন।
এছাড়া
এটা
দেশে
অনেক
টিভি
সিরিয়ালে
ব্যবহার
করা
হয়।