মোদীর জমানায় কেবল বাঁশই ফলছে! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে কটাক্ষ নানা মহলে
দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেলেও, বাঁসের উৎপাদন বেড়েছে সারা দেশ জুড়েই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, গত ২ বছরে সারা দেশে বাঁশের উৎপাদন বেড়েছে
দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেলেও, বাঁসের উৎপাদন বেড়েছে সারা দেশ জুড়েই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, গত ২ বছরে সারা দেশে বাঁশের উৎপাদন বেড়েছে ২৭৭৫৮৭ টন। যদিও দেশের এত সমস্যার মধ্যে মন্ত্রীর দেওয়া বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধির খবরে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না।
দেশে বেড়েছে বাঁশের উৎপাদন
সারা বিশ্বে বাঁস উৎপাদনে প্রথম চিন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, গত ২ বছরে মোদীর জমানায় বাঁশের উৎপাদন বেড়েছে ২৭৭৫৮৭ টন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, মোদী সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাঁশকে ঘাসের শ্রেণিতে নিয়ে আসতে। এর ফলে বাঁশ ঝাড় যেমন কাটা যাবে, ঠিক তেমনই এক জায়গা তেকে অন্য জায়গায়ও নিয়ে যাওয়া যাবে বাঁশকে।
বাঁশ ঝাড়ের বৃদ্ধিতে কটাক্ষ
দেশে প্রধান সমস্যা মূল্যবৃদ্ধির। গাড়ি শিল্পে মন্দা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এনআরসি, সিএএ নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন। সেই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য নিয়ে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। অনেকেই বলছএন মোদীর যুগে বাঁশের বাড়বাড়ন্ত কথাটা বেশ যথার্থ।
মোদী আচ্ছে দিন, বাঁশের বংশবৃদ্ধি
বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি কটাক্ষ করছেন রাজনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, মোদী বলেছিলেন আচ্ছে দিন আসবে। জিএসটি, নোটবাতিলের সিদ্ধান্তে দেশব্যাপী ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এরপরেই পরেও মোদী বলেচিলেন আচ্ছে দিনের কথা। বর্তমানে আর্থিক মন্দার মধ্যে বাঁশ ঝাড় বৃদ্ধিকে অনেকে মোদীর সুদিন বলেই কটাক্ষ করছেন। বলছেন বাঁশ ছাড়া ওদের আর কিছুই দেওয়ার নেই। আর বাঁশ যে কোনও আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে, তা মানতে পারছেন না অনেকে।
দিলীপ ঘোষ তুলনা টানলেন রাজ্যে মদ বিক্রির সঙ্গে
দিলীপ ঘোষ বিষয়টিকে দেশের সাফল্য হিসেবেই দেখছেন। কেননা এই বাঁশ বিক্রি করে দেশে অর্থনীতিতে যোগদান সম্ভব। তাঁর কটাক্ষ পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব থেকে বেশি রাজস্ব আয় করে মদ বিক্রি করে। সেখানে এই বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে প্রকৃতির জন্য।