একেবারে শেষ মুহূর্তে বালাকোট হামলার পরিকল্পনা বদলে ফেলেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা
পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর কেটে গিয়েছে চার মাস। এরইমধ্যে এই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।
পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর কেটে গিয়েছে চার মাস। এরইমধ্যে এই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। সংবাদ সংস্থা টাইমস নাও দাবি করেছে, তাদের হাতে তথ্য রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, একেবারে শেষ মুহুর্তে আক্রমণের পরিকল্পনায় পরিবর্তন হয়। যার থেকে এই বিষয়টিতে নাটকীয় মোড় নেয়।
বালাকোটে হামলার আগে আকাশে ইউএভি
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী,
বালাকোটে
হামলার
জন্য
মিরাজ-২০০০
যুদ্ধ
বিমান
রওনা
দিয়ে
দিয়েছে।
অন্যদিকে
সবেমাত্র
একটি
আনম্যানড
এরিয়াল
ভেহিকল(
ইউএভি)
কে
নজরদারির
জন্য
তোলা
হয়
জম্মু
ও
কাশ্মীর
থেকে।
এই
ইউএভি
দেখে
পাকিস্তানের
বায়ু
সেনা
বুঝতে
পারে
সার্জিক্যাল
স্ট্রাইক
হতে
পারে।
ফলে
তারাও
দুটি
এফ-১৬কে
পাঠানো
হয়।
নাম
প্রকাশে
অনিচ্ছুক
এক
আধিকারিক
বলে,
পাকিস্তান
মনে
করেছিল
দুবছর
আগেকার
মতো
সার্জিক্যাল
স্ট্রাইক
হতে
চলেছে।
ভারতের উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্ধে পাকিস্তান
এদিকে
আকাশে
উড়েছে
মিরাজ
২০০০
যুদ্ধ
বিমান।
কিন্তু
পাক
আকাশে
এফ-১৬
বিমান
থাকলে
সরাসরি
বালাকোটে
থেকে
সমস্যা
তৈরি
হবে।
সেই
সময়
এফ
১৬
গুলিকে
নির্দিষ্ট
জায়গা
থেকে
সরানোর
জন্য
ছটি
জাগুয়ার
যুদ্ধ
বিমানকে
রওনা
করিয়ে
দেয়
ভারতের
বায়ু
সেনা।
যেগুলির
মুখ
ছিল
লাহোরের
দিক।
আন্তর্জাতিক
সীমানায়
পৌঁছনোর
আগেই
পাকিস্তান
সম্ভবত
মনে
করেছিল
টার্গেট
হতে
পারে
জৈশ-ই
মহম্মদের
হেডকোয়ার্টার
ভাওয়ালপুর।
যেহেতু
জৈশ-ই-মহম্মদ
১৪
দিন
আগে
পুলওয়ামা
হামলার
দায়
নিয়েছিল।
সেই
সময়
পাকিস্তান
এফ-১৬
বিমানগুলিকে
লাহোরের
দিকে
পাঠিয়ে
দেয়।
ফলে
মিরাজ
২০০০
বিমানগুলির
বালাকোট
যাওয়ার
রাস্তা
পরিষ্কার
হয়ে
যায়।
আর
এর
পরেই
গোয়েন্দা
রিপোর্ট
অনুযায়ী
টার্গেট
ঠিক
করা
জায়গায়
গিয়ে
আঘাত
হানে
মিরাজ
২০০০
বিমানগুলি।
যার
জেরে
২০০
জৈশ
জঙ্গির
মৃত্যু
হয়।
এই
অভিযানে
ছটি
মিরাজ
২০০০
বিমান
অংশ
নিয়েছিল।
ছটি
হামলায়
অংশ
নেয়।
আর
একটি
ছিল
এলাকার
নজরদারিতে।
আকাশে ছিল ২০ টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধ বিমান
কেন একটা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের আগে ইউএভি পাঠানো হল। সেটাই হল গোপনীয়তা। ২০ টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধ বিমান বালাকোট যাওয়ার জন্য উড়েছিল। সম্ভবত পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করার জন্যই ওই ইউএভিকে পাঠানো হয়েছিল। যাতে তাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পারে পাকিস্তান।