পাকিস্তানে বিধ্বংসী এয়ার স্ট্রাইকের পর বালাকোটে জইশ ক্যাম্পে এখন কী অবস্থা! উঠে এলো তথ্য
বালাকোটে বিধ্বংসী এয়ার স্ট্রাইকের পর জইশ ক্যাম্প এখন কী অবস্থায়! স্যাটেলাইটের ছবি কী বলছে
রাতের অন্ধকারে একের পর এক বোমা যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০ থেকে পড়েছিল পাকিস্তানের বালাকোটের জইশ জঙ্গি শিবিরে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে সেখানে সেই সময় ৩০০ টি মোবাইল নেটওয়ার্ক কার্যকরী ছিল। মনে করা হচ্ছিল যে এই হামলায় প্রায় ৩০০ জন জঙ্গিকে একযোগে নিধন করেছে ভারতীয় সেনা। আর সেই জইশ জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের পরিস্থিতি এখন কীরকম!ধরা পড়ল কয়েকটি স্যাটেলাইট ছবিতে।
এক বছরের মধ্যেই নয়া ইমারত
পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ জঙ্গিরা যে বিল্ডিং এ থাকত, তা গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারির এয়ারস্ট্রাইকে কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এদিকে খবর, সেই বিল্ডিং ফের একবার তৈরি হচ্ছে। গোটা বিল্ডিংটি নতুন করে মেরামতি করা হয়েছে। আর এই মেরামতির ছবি ধরা পড়েছে কয়েকটি স্যাটেলাইটে।
ইমারতের আয়তন এবার ছোট!
এয়াস্ট্রাইকের পর যে বালাকোটে জইশ জঙ্গিদের যে নয়া ইমারত গড়ে উঠছে, তাতে ২০১ স্কোয়ার মিটারের জায়গায় ১২৮ স্কোয়ার মিটারের হল ঘর তৈরি হচ্ছে বলে গোয়েন্দাদারে কাছে খবর। যে এলাকায় এই ক্যাম্প, সেখানের উত্তরের দিকে মুজাহিদ হস্টেল রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই হস্টেলেই জঙ্গিরা বসবাস করে।
কীভাবে বোঝা গেল যে বালাকোটে ফের ইমারত তুলছে জইশ!
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেতে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইটে ধরা পড়া পর পর ছবিতে দেখা গিয়েছে বালাকোটে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ইমারত। তবে আগের তুলনায় এই ইমারতের আয়তন ছোট।
এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকে পাকিস্তান কোন ছকে এগিয়েছে?
মূলত , বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক যে হয়েছে, তা মানতেই চায়নি পাকিস্তান। এরপর এলাকার মাদ্রাসে বিদেশী সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দিতে শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। এরপর সন্দেহ দানা বাঁধতেই , ঘটনার ৪০ দিন পর সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় বিদেশী কূটনীতিবিদদের ও সাংবাদিকদের। যে ৪০ দিনে পাকিস্তান বালাকোট স্ট্রাইকের সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে ফেলে বলে জানা যাচ্ছে।