রাজ্যে পরিবর্তনের স্বপ্নে যাত্রা শুরু তৃণমূলে ‘বহিরাগত’র, রেকর্ডধারী মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চ্যালেঞ্জ
নিজভূমে ফিরে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাইচুং ভুটিয়া। রাজ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে নতুন দল গড়লেন। সেই দল আত্মপ্রকাশ হল বৃহস্পতিবার
নিজেকে তিনি বহিরাগত মনে করতেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পাঠ চুকিয়েছিলেন তিনি। এমনকী বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে 'পাহাড়ি বিছে' বাইচুং ফিরে গিয়েছিলেন নিজভূমে। আর সেখানে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাইচুং ভুটিয়া। রাজ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে নতুন দল গড়লেন। তাঁর গড়া 'হামারো সিকিম' পার্টির আত্মপ্রকাশ হল বৃহস্পতিবার।
বৃহস্পতিবার ছিল পশ্চিম সিকিমের দারামদিন। পবিত্র এই দিন থেকেই নতুন দলের যাত্রা শুরু করল। ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক এবার রাজনৈতিক আঙিনায় নয়া দলের সূচনা করে পরিবর্তনের ডাক দিলেন। নতুন দলের আত্মপ্রকাশের পর মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা জানালেন। জানালেন, কেন তিনি তৃণমূল ছেড়ে সিকিমে গিয়ে নতুন দল গড়লেন।
[আরও পড়ুন:লোকসভার আগেই বড়সড় পরিবর্তন তৃণমূলে! নয়া 'নেতৃত্বে'র উত্থানে শোভনকে বার্তা ]
বাইচুং এই 'হামারো সিকিম' পার্টি তৈরি করলেন সিকিমের প্রাক্তনমন্ত্রী আর বি সুব্বার সঙ্গে জোট বেঁধে। শাসকদলকে চ্যালেঞ্জটা বাইচুং ছুড়লেন পবিত্র এই দিনেই। ১৯৯৩-এর দারামদিনেই সিকিমের ক্ষমতাসীন পার্টি সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট যাত্রা শুরু করেছিল। তেমনই ২৫ বছর পর ২০১৮-র দারামদিনে বাইচুং নয়া দলের আাত্মপ্রকাশ ঘটালেন।
এবছরই সবথেকে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে থাকার রেকর্ড গড়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। ভেঙে দিয়েছেন জ্যোতি বসুর রেকর্ড। ৩৪ বছরের বাংলার বাম শাসনের যেমন অবসান ঘটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর দলেরই 'বহিরাগত' বাইচুং ভুটিয়া এবার পাশের রাজ্যে পরিবর্তন আনার দাবি তুললেন।
[আরও পড়ুন: জ্বলছে ভাঙড়, অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে অবরোধ-বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা]
২০১৯-এ সিকিমে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটেই সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের শাসনের অবসান চান ভারতের সফল এই ফুটবলার। এদিন বাইচুংয়ের নতুন দলের আত্মপ্রকাশের দিনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁদের সামনেই বর্তমান সরকারের পতনের ডাক দেন।
নিজেকে 'বহিরাগত' তকমা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে চলে যান বাইচুং। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে সমর্তন জানিয়ে বিতর্ক বাড়ানোর পরই তিনি বাংলা ছেড়ে সিকিমে গিয়ে নতুন দল গড়ার প্রস্তুতি নেন। নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান নিজের রাজ্য থেকেই, যেখানে তিনি নিজেকে কখনও 'বহিরাগত' বলে মনে করবেন না।