তৃণমূল সংসদকেও ‘বিধানসভা’ বানিয়ে ছাড়বে নাকি! ‘নীরব’ প্রতিবাদেও গর্জে উঠলেন বাবুল
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যখন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন, তখন তৃণমূলের সাংসদরা 'নো এনআরসি', 'নো সিএএ', 'নো এনপিআর' লিখে কেন্দ্রীয় হলে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন।
বাজেট অধিবেশন শুরুতেই তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের কেন্দ্রীয় হলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যখন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন, তখন তৃণমূলের সাংসদরা 'নো এনআরসি', 'নো সিএএ', 'নো এনপিআর' লিখে কেন্দ্রীয় হলে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। তৃণমূলের এই নীরব প্রতিবাদেরও নিন্দা করলেন বাবুল সুপ্রিয়।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলের এই প্রতিবাদের পদ্ধতির ঘোর সমালোচনা করেন। তৃণমূল বিধানসভা ভাঙচুর করেছিল। এবার কি তারা সংসদকে বিধানসভা করার চেষ্টা করছে নাকি, তা আমি জানি না। আজ তৃণমূলরা যা করেছে তাকে বাংলায় বর্বরতা বলা হয়।
বাবুল বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের একটি সম্মান রয়েছে। এ সময় কেউ তা করতে পারে না। তৃণমূলের অবশ্যই প্রতিবাদের অধিকার আছে। তারা সঠিক বা অন্যায় করছে কি না তা লোকেরা বিচার করবে। তবে এটি প্রতিবাদের জায়গা নয়।
তবে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী বলেছেন, "আমাদের গণতান্ত্রিক পথে প্রতিবাদ করতে হবে। মানুষ যা চায় না, তা আমাদের বিরোধিতা করে বন্ধ করতে হবে। তারাই আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। আমাদের তাই যতদূর যাওয়ার দরকার, তত দূর যেতে হবে।
তবে তৃণমূলের মতো কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি সংসদের ভিতরে নয়, সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কংগ্রেস-সহ ১৪ বিরোধী দল সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে হাজির হয়েছিল। তাঁরা কালো ব্যাচ হাতে পরে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানান।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় বিজেপি সাংসদরা যখন তাঁর সমর্থনে টেবিল চাপড়াচ্ছিলেন, তখন বিরোধী সাংসদরা 'শেম শেম' বলে চিৎকার করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে বিরোধী দলগুলি তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।