এনএম এএস-রা দেশনেতা নন, টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে মোদী-শাহকে কটাক্ষ বাবুলের
এনএম এএস-রা দেশনেতা নন, টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে মোদী-শাহকে কটাক্ষ বাবুলের
মোদী অমিত শাহের দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও চিন্তা ভাবনা নেই। তারা শুধু ক্ষমতায় থাকতে চান। লক্ষ্য শুধুই ভোটে জেতা। তাঁরা নিঃসন্দেহে বড় রাজনৈতিক নেতা কিন্তু তারা নেতা নন। এই কথা বোঝাতে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন একদা মো-শা জুটির ঘনিষ্ঠ বাবুল সুপ্রিয়। বেশ কিছু মাস হয়েছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। নতুন দলের হয়ে কাজ করতে বিভিন্ন রাজ্যে ছুটে গিয়েছেন। এসবের মাঝেই তিনি নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহকে এক হাত নিলেন টুইটারে।
ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?
তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি রাজনৈতিক নেতা ও নেতার পার্থক্য বোঝাচ্ছেন। সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলছেন, 'কখনও বিশ্বাস করবেন না যে নেতা ও রাজনৈতিক নেতা দুটো একই বিষয়। আমরা যে সিস্টেমে চলি তা রাজনৈতিক নেতা তৈরি করে, কখনই নেতা তৈরি করে না। আপনি প্রত্যেক বছর এমন একজন রাজনৈতিক নেতাকে বেছে নেন যিনি নেতৃত্বে 'ক' অক্ষর বোঝেন না, কিন্তু তিনিই আপনার কাছে একজন জননেতা। রাজনৈতিক নেতারা শুধুমাত্র পরের ভোটে কী হবে এটুকু নিয়েই তাদের মাথাব্যথা। আগামী প্রজন্মের কী হবে তা নিয়ে তাদের কোনও চিন্তাই থাকে না। তাই তাঁরা আর যাই হয়ে যান না কেন তারা নেতা হতে পারবেন না। আমার কথা গুলো মিলিয়ে নিতে আপনারা একটা কাজ করতে পারেন। কোনও ভোটের আগে কোনও নেতা আপনার বাড়িতে ভোট চাইতে এলে একটা কাজ করবেন, বসিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন যে , 'আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে আপনি কী ভাবছেন তা জানান।' বলবেন 'আমি আপনাকে ২০ মিনিট সময় দিচ্ছি। আপনি বলুন'। দেখবেন ২০ মিনিট কাটবে না। সেই নেতা ল্যাজ গুটিয়ে পালাবে। কারণ তার লক্ষ্য তো ওটা নয়। তার লক্ষ্য ক্ষমতায় থাকা।'
সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর, ফের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা! ঠিক কতটা বাড়তে চলেছে বেতন
কী বলতে চেয়েছেন বাবুল?
ভিডিও পোস্ট করে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ''চাকরির বাজার কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আপনি নিশ্চয় চাইবেন রাজনীতিকরা পরবর্তী প্রজন্মের বিষয়ে যত্নশীল নন। বিজেপি, যে দলটি বিশ্বের বৃহত্তম দল বলে গর্ব করে, তা হল ২-ম্যান আর্মি। এনএম বা এএস - এটাই তাদের ওয়ে , এটাই হাইওয়ে। এই দলের নেতারা এর চেয়ে বেশি কিছু জানে না। তারা কিছু করতেও চায় না।', তিনি বলতে চেয়েছেন বিজেপি-র মতো দলে যে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ'ই শেষ কথা। তারা যেমন কিছুই ভালো কাজ করার কথা বলেন না, তার সঙ্গীরাও তাদের মেনে সেই ভাবেই এগিয়ে চলেছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোনও ভাবনা নেই।