৫ ঘণ্টায় বিশাল বাবরি মসজিদ ভেঙে পড়েছিল! ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৎকালীন আমলারা
১৯৯২ সাল। দিল্লির তখতে তখন নরসংহ রাও। এদিকে উত্তরপ্রদশের অযোধ্যায় তখন ধীরে ধীরে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সেই সময় নরসিংহ রাওয়ের স্বরাষ্ট্র সচিব ছিলেন মাধব গোডবোলে। এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদলত বাবরি মামলায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে রায় প্রকাশ করতেই রাওয়ের আমলের স্বরাষ্ট্রসচিব মুখ খুললেন।

বিশাল মসজিদ ৫ ঘণ্টায়...
' প্রথমত আমি খুবই হতচকিত এই রায় নিয়ে। বিশ্বাল মসজিদটি ৫ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে পড়ে যায়, এটা কোনও পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি ছাড়া হয়েছে এটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।' এই বক্তব্যই এদিন নরসিংহ রাওয়ের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব পেশ করেন বাবরি মসজিদ মামলার সিবিআই আদালতের রায় নিয়ে।

বাবরি প্রসঙ্গে সরকারি কর্তার বার্তা
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে মাধব গোডবোলে জানিয়েছিলেন, সেই সময় যদি পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকত , তাহলে হয়তো বাবরি মসজিদকে বাঁচানো যেত। পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি একবার জানিয়েছিলেন বাবরি ধ্বংস মামলা সেই সময় কার্যত সরকারের সামেন একটি পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাশাপাশি সংবিধানের জন্যও এটি 'অ্যাসিড টেস্ট' ছিল।

ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গ
এদিন আদালতের সিবিআই দাবি করেছিল যে , ১৯৯২ সালের সেদিনের ঘটনায় ষড়যন্ত্র ঘটেছিল অযোধ্যার বুকে। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রমাণের অভাবে সেই সওয়াল কার্যত পোক্ত হয়নি। যার ফলে মামলায় অভিযুক্তের তালিকা থেকে খালাস পেয়ে যান বিজেপির লালকৃষ্ণ আদবানী, মুরলী মনোহর যোশী , উমা ভারতী, হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী রিতম্বরারা।

ষড়যন্তেরর তত্ত্ব নিয়ে অন্য আমলার বক্তব্য
১৯৯০ সালে আইপিএস অফিসার কিশোর কুনাল অযোধ্যায় মুসলিম ও হিন্দুদের বিতর্কের মাঝে সমাধানের রাস্তা খোঁজার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি পর পর ৩ জন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিশেষ দায়িত্বে কাজ করেছেন। তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের সামনে অনেক মামলাটি 'ফেব্রিকেট' করা হয়েছে। কোনও ষড়যন্ত্র সেদিন হয়নি।

ছবি সৌ:পিটিআই
সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণের পরিপন্থী বাবরি মামলার রায়! ফুঁসে উঠল কংগ্রেস