বাবরি মসজিদ মামলা: 'তাহলে কি জাদু করে ধ্বংস করা হয়েছে?' প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক ওয়েইসি
বাবরি মসজিদ মামলা: 'তাহলে কি জাদু করে ধ্বংস করা হয়েছে?' প্রশ্ন তুলে বিচার ব্যবস্থার 'কালো দিন' আখ্যা ওয়েইসির
বাবরি মসজিদ মামলার রায় প্রকাশের পরই এআইএমএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মুহূর্তে তিনি আর্জি জানান যাতে মুসলিম ল বোর্ড এই মামলা নিয়ে পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নেয়। পাশাপাশি একাধিক প্রশ্ন তিনি তুলেছেন এদিন।
' বিচার ব্যবস্থার কালো দিন'
' আজ ভারতের বিচার ব্যবস্থার কালো দিন। এখন আদালত বলছে যে কোনও ষড়যন্ত্র হয়নি। ' এভাবেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন এআইএমএম প্রধান। উল্লেখ্য, বাবরি মামলায় কোনও ষড়যন্ত্র হয়নি বলে এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত জানায়। এরপরই আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানান, ৬ ডিসেম্বরের মতে আজকের দিনর জন্য তিনি অপমানিত বোধ করছেন।
আইনি প্রসঙ্গ
ওয়েইসি এজিন সুপ্রিম কোর্টের পুরনো প্রসঙ্গ টেনে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ' সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনাটি সম্পর্কে আগে বলেছিল, একটি প্রার্থনার জায়গাকে ধ্বংসের জন্য আগে থেকে অঙ্ক কষা হয়েছিল। আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে, এই ধ্বংসের ঘটনা যদি আইনভঙ্গ না হয়, তাহলে কি ৬ ডিসেম্বর জাদুবলে এটি ধ্বংস করা হয়? ১৯৪৯ সালের ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর রাতে কি ওখানে জাদু বলে মূর্তি সাজানো হয়েছিল?'
রাজীব থেকে লালকৃষ্ণ প্রসঙ্গ
এদিন ওয়েইসি প্রশ্ন তোলেন ,'রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন কি অযোধ্যায় জাদু বলে তালা খোলা হয়েছিল? ' এরপরই তিনি লালকৃষ্ণ আদবানীর প্রসঙ্গে মুখ খুলে বলেন, ' হিংসা ওঁকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। সবারই এটা জানা যে, আদবানী যখন রথযাত্রা বের করেন তখন কতটা রক্তপাত হয়। এই রায় হিন্দুত্ববাদের অনুগামীদের সন্তুষ্ট করতে পারে একমাত্র। '
মুসলিম ল বোর্ডের পদক্ষেপ
জানা গিয়েছে বাবরি মামলা নিয়ে এবার আইনি পথে পরবর্তী ধাপের লড়াইয়ের জন্য চেষ্টা করছে মুসলিম ল বোর্ড। বোর্ডের সদস্যরা হাইকোর্টে এই মামলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর।
কৃষি আইনের প্রশংসা, পুলিশকে হুঁশিয়ারি! ক্ষমতায় এলে কোন ক্ষেত্রে জোর, নজরকাড়া প্রতিশ্রুতি কৈলাশ