পাহাড়েও ডেরা বাঁধতে চেষ্টা করেছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম
স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের ছবি দেখছেন আর আর আঁতকে উঠছেন দার্জিলিং-এর বাসিন্দারা। কেননা একসময়ে পাহাড়ের দিকেও হাত বাড়িয়েছিলেন তিনি। আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় ২০১২-তে পাহাড় ছাড়তে বাধ্য হন
স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের ছবি দেখছেন আর আর আঁতকে উঠছেন দার্জিলিং-এর বাসিন্দারা। কেননা একসময়ে পাহাড়ের দিকেও হাত বাড়িয়েছিলেন বিতর্কিত এই ধর্মগুরু। ২০১১-র সেপ্টেম্বরে দার্জিলিং থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর গান্ধী রোডে দু একর জমি কেনেন গুরমিত রাম রহিম। শুরু হয় আশ্রম তৈরির কাজ। কিন্তু আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় ২০১২-তে এক প্রকার দার্জিলিং ছাড়তে বাধ্য হন রাম রহিম।
নেপাল ও সিকিমে ডেরা তৈরির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দার্জিলিংকেই বেছে নেন গুরমিত রাম রহিম। ২০১১ থেকে পাহাড়ে তার ঘনঘন যাতায়াত চলতে থাকে।
বেশ কয়েকবার পাহাড়ে গিয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। পাহাড়ে থাকাকালীন স্ল্যাক্স পরতেন। তাই পাহাড়ে 'স্ল্যাক্স বাবা' নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন গুরমিত রাম রহিম। সবসমই ছিল ভিভিআইপি লাইফস্টাইল। তাকে ঘিরে থাকত সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীর দল।
২০১২- র শুরুর দিকে, গুরমিত রাম রহিম রাজভবনের পাশের একটি অভিজাত হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেলটি একমাসেরও বেশি সময়ের জন্য বুক করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নিজস্ব বাহিনী। সেই সময় চক বাজারের কাছে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই সময়ে দমকল আসার আগেই গুরমিত রাম রহিমের প্রশিক্ষিত বাহিনী আগুন নেভাতে পাহাড়বাসীকে সাহায্য করে। তখন গুরুত্ব বেড়েছিল স্বঘোষিত ধর্মগুরুর।
কিন্তু আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে নারী মোর্চা। রাম রহিমকে পাহাড়ছাড়া করতে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। বলা যেতে পারে স্থানীয় মানুষের চাপেই সবার নজর এড়িয়ে পাহাড় ছাড়েন রাম রহিম।
বাবা পাহাড়ছাড়া হলেও, দুই একরেরও বেশি জমির ওপর মাথা তুলেছে তাঁর আশ্রম। দার্জিলিং পুরসভার অধীন সেই জায়গায় নির্মাণের কোনও অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছেন তৎকালীন দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান। সেই আশ্রমে এখনও দেখা মেলে বাবার ভক্তদের। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত বাবার প্রতি তাঁদের এখনও অগাধ আস্থা।