'জমি মাফিয়া' আজম খান, উত্তরপ্রদেশের সরকারি খাতায় নাম উঠতে চলেছে সপা সাংসদের
বিতর্ক কখনও আজম খানের পিছু ছাড়েনি। লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদাকে হেলায় হারিয়েছেন তিনি। সেই সপা সাংসদের নাম নাকি জমি মাফিয়াদের তালিকায় উঠতে চলেছে।
সমাজবাদী পার্টির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আজম খানকে বিতর্ক কখনও পিছু ছাড়েনি। লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদাকে হেলায় হারিয়েছেন তিনি। তবে এই সপা সাংসদের নাম নাকি জমি মাফিয়াদের তালিকায় উঠতে চলেছে। কারণ এই সপা সাংসদের নামে জমি জবরদখল, জমি ছিনিয়ে নেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে সরকারের ঘরে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ জমি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি সরকারি ওয়েবসাইট খুলেছিলেন। তাতে জমি সংক্রান্ত নানা অভিযোগ, জমি জবরদখল, জমি ছিনতাই সহ নানা অভিযোগ জানাতে পারের রাজ্যের মানুষ। তাতে দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছরে জমি সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে তার অধিকাংশই আজম খানের বিরুদ্ধে। সপা সাংসদের বিরুদ্ধে ৩০টিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সরকারি জমি জবর দখল সহ চাষের জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে।
রামপুরের পুলিস সুপার অজয় পাল শর্মা জানিয়েছেন, শীঘ্রই জমি মাফিয়া হিসেবে অজম খানের নাম নথিভুক্ত করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে যে জমি দখলের অভিযোগগুলি জমা পড়েছে সেগুলি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সরকারি ওয়েবসাইটেও তাঁর নাম জমি মাফিয়া হিসেবেই উল্লেখ করার কথা ভাবছে যোগী সরকার।
গত শুক্রবারই রামপুরের রাজস্ব দফতরের পক্ষ থেকে আজম খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে লেখা হয়েছে আজম খান এবং তাঁর সহযোগী প্রাক্তন পুলিস অফিসার আলিশান খান প্রায় ২৬ জন কৃষকের জমি জবর দখল করে মহম্মদ আলি জুহর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু করেছে। সূত্রের খবর এই এফআইআরের খবর জানা জানি হতেই ওই ২৬ জন চাষির কাছ থেকে জোর করে জমি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা আবার আলাদা করে আজম খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আজম খান গরিব চাষিদের কাছ থেকে ৫০০০ হেক্টর জমি জবর দখল করেছে বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেেছন আজম খান।