কার্গিলে মুসলিম জওয়ানরাই যুদ্ধ জিতিয়েছিল : আজম খান
রাজনীতির খেলায় ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে আজম খান যেভাবে ভারতীয় জওয়ানদের নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন, তার কড়া নিন্দা করেছে সব রাজনৈতিক দলগুলিই। কংগ্রেস ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে আজম খানের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছে।
লোকসভা ভোটের আগে কার্গিল প্রসঙ্গ টেনে আজম খান বলেন, ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের পিছনে ছিল মুসলিম জওয়ানরাই। যারা ভারতের জয়ের জন্য লড়াই করেছিল তারা হিন্দু নন। বরং সেই জওয়ানরা ছিলেন মুসলমান সম্প্রদায়ের। গাজিয়াবাদের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এক জনসভায় এই মন্তব্য করেন আজম খান।
সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরে আজম খান
শুধু এই নয়, তিনি আরও বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জওয়ানদের থেকে ভাল কেউ দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের নিয়োগ করুন, আমাদের থেকে বেশি ভাল কেউ সীমান্তের রক্ষা করতে পারবেন না।
নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ অমিত শাহকে 'খুনী' মন্তব্যের দুদিনের মাথায় আজম খানের এহেন মন্তব্য সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারাকে উষ্কে দিতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। অমিত শাহ বলেছিলন, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলে উৎখাত করা হবে মোল্লা মুলায়মকে। এদিন তারই পাল্টা আজম খান দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাজনীতি করায় আজম খানের নিন্দায় সরব হয়েছেন সেনা অফিসাররা। কোনও সম্প্রদায় নয়। ভারতকে কার্গিল যুদ্ধ জিতিয়েছে ভারতীয় জওয়ানরাই। এমনই মন্তব্য করেছেন, প্রাক্তন সেনা অফিসার তথা বিজেপির গাজিয়াবাদের প্রার্থী জেনারেল ভি কে সিং।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, এসপি নেতার এমন অসংযমী মন্তব্যের জন্য বর্ণ ও জাতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।
এই প্রথমবার নয়, যখন আজম খান কোও আপত্তিকর মন্তব্য করলেন। এর আগেও অমিত শাহকে খুনী বলে মন্তব্য করেছেন খান। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকেও মুসলমানদের শত্রু বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই সমাজবাদী পার্টি নেতা। মোদীর নীতি হিন্দু-মুসলমানের বিভাজন বলেও মন্তব্য করেছিলেন আজম খান।
<center><iframe width="100%" height="360" src="//www.youtube.com/embed/7-TeNOk-6Xk?feature=player_embedded" frameborder="0" allowfullscreen></iframe></center>