গুলাম নবি আজাদকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি, গ্রাউন্ড রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত
তিনবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিছুতেই কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে। শ্রীনগর থেকে তিনবার ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিস। তাই সরাসরি আদলতের দ্বরস্থ হয়েছিলেন তিনি।
তিনবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিছুতেই কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে। শ্রীনগর থেকে তিনবার ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিস। তাই সরাসরি আদলতের দ্বরস্থ হয়েছিলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এসএ বব্দে এবং বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চে সোমবার মামলাটি ওঠে। তারপরেই কংগ্রেস সাংসদকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে সেখানকার একটি গ্রাউন্ড রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতিদের বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশ
কাশ্মীরে প্রবেশ করতে পারবেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শ্রীনগর, জম্মু, বারামুল্লা এবং অনন্তনাগে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন কংগ্রেস নেতা। তবে কোনও রাজনৈতিক মিছিল বের করতে পারবেন না তিনি। এমনকী কোনও সভায় ভাষণও দিতে পারবেন না কংগ্রেস সাংসদ। এমনই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
শ্রীনগর থেকে তিনবার ফেরানো হয়েছে
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা জারি হওয়ার পর থেকেই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করতে পারছেন না কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ। ৫ অগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। তারপর থেকেই উপত্যকার সব যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। টেলিফোন, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জায়গায় জায়গায় কড়া প্রহরা। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। নেতারা এখনও গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাননি। বাইরের কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকে উপত্যকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গুলাম নবি আজাদ তারপর থেকে প্রায় ৩ বার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে শ্রীনগর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিস।
কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রবেশে বাধা
কাশ্মীরকে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে রেখেছে মোদী সরকার। বারবার এমনই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। শুধু গুলাম নবি আজাদ নন, একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও সেখানে প্রবেশ করে দেওয়া হয়নি। সীতারাম ইযেচুরিকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দলকেও শ্রীনগর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন আগেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন মেহবুবা মুফতির মেয়ে। শীর্ষ আদালত তাঁকে মায়ে কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, দেশের কোনও প্রান্তেই নাগরিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া যায় না।
সীতারাম ইয়েচুরিও আবেদন করেছিলেন
গুলাম নবি আজাদের আগে সীতারাম ইয়েচুরিও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কাশ্মীের ঢুকতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। শীর্ষ আদালত তাঁকে সেই অনুমতিও দিয়েছিল। কাশ্মীরে সহকর্মী মহম্মদ ইউসুফ তারিঘামির স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার জন্য সেখানে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁকে অনুমতি দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, নাগরিকদের দেশের কোনও প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া যায় না।
তারপরেও সতর্ক হয়নি কাশ্মীরের প্রশাসন। কাশ্মীরে প্রবেশের ক্ষেত্রে একের পর এক বাধা দিয়েই গিয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাকে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এদিন শীর্ষ আদালত গুলাম নবি আজাদকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং সেখানকার পরিস্থিতির একটি গ্রাউন্ড রিপোর্টও আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
[ শিশু অধিকার কর্মীর অভিযোগ! জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে যেতে চান প্রধান বিচারপতি]
[ জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে! কেন্দ্রকে বার্তা শীর্ষ আদালতের]