শিশুদের করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে আয়ুশ মন্ত্রকের এই গাইডলাইন মেনে চলুন
শিশুদের করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে আয়ুশ মন্ত্রকের এই গাইডলাইন মেনে চলুন
করোনা থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে অভিভাবকদের কি কি করণীয় তার বিস্তারিত গাইডলাইন দিল কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক। এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণজনিত জটিল রোগের ভয় নেই শিশুদের। মাস্ক, পারস্পরিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে নিয়ম মেনে। গাইডলাইনে এও বলা হয়েছে, কড়া ডোজের ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই, আয়ুর্বেদ ওষুধ খাওয়ানো ভালো, যোগ ব্যায়ামের অভ্যাস, পাঁচটি সতর্কমূলক চিহ্নের ওপর নজরদারি, টেলি–পরামর্শের ওপর ও অভিভাবকদের টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শিশুদের হাল্কা সংক্রমণ
৫৮ পাতার এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, 'শিশুদের মধ্যে সাধারণত হাল্কা সংক্রমণ দেখা যায় এবং অধিকাংশ কোভিডে আক্রান্ত শিশুদের বিশেষ ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাই শিশুদের জন্য যথেষ্ট। এটাই এই মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার উপায়।' গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় উঠে এসেছে কিছু আয়ুর্বেদ ওষুধ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
ঝুঁকি রয়েছে একাধিক রোগে আক্রান্ত শিশুদের
তবে যে সব শিশুদের স্থুলতা, টাইপ-১ ডায়াবেটিস বা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে তাদের সাবধানে থাকতে হবে। কারণ তাদের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। যদিও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি তাও অনেক মিউট্যান্ট ভাইরাস স্ট্রেইন এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে তাই এটা জরুরি যে কোভিড-১৯-এর বিধি যথাযথভাবে মেনে চলা। প্রসঙ্গত, কোভিডের তৃতীয় ওয়েভ আসার আগেই শিশু ও কম বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় বেশিমাত্রায় চেপে বসেছে। যদিও শিশুরা যে কোভিডের তৃতীয় ওয়েভে বেশি আক্রান্ত হবেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আয়ুশ গাইডলাইনে কি বলা রয়েছে
১) ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মাস্ক পরা জরুরি। পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মাস্ক পরতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
২)শিশুদের একাধিক রোগ থাকলে নিয়মিত চেকআপে রাখতে হবে।
৩)শিশুরা যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকলেই ভালো। গণ পরিবহন এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। সার্জিক্যাল মাস্কের পরিবর্তে বাচ্চাদের নন-মেডিক্যাল তিন স্তরের ফ্যাব্রিক মাস্ক পরানো ভালো।
৪) কোভিড সংক্রমণের উপসর্গ হিসাবে হাল্কা জ্বর, সর্দি-কাশি, বাচ্চারা খাবার খেতে চাইবে না, দুর্বল হয়ে পড়বে, ঝিমুনি আসবে সবসময়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে। ৯৫ শতাংশের নীচে নামলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
৫) মৃদু সংক্রমণে শিশুদের প্যারাসিটামলের ডোজ দেওয়া যেতে পারে।
৬) শিশুদের কোভিড সংক্রমণ হাল্কাই হচ্ছে সেক্ষেত্রে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা ভাল। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর বেশি নজর দিতে হবে মা-বাবাদের। উষ্ণ গরম জলে শিশুদের গার্গেল করাতে হবে, দু'বছরের বেশি বাচ্চাদের সকাল ও রাতে ব্রাশ করা জরুরি। পাঁচ বছরের ওপর বাচ্চাদের হাল্কা প্রাণায়াম ও যোগ ব্যায়াম করলে ভালো।
৭) বারে বারে হাত ধোওয়া, দুরত্ব বজায় রাখা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। হলুদ দুধ, চবনপ্রাশ এগুলি খাওয়াতে হবে।