খুন করে মরদেহ কুমিরকে খাওয়াত চিকিৎসক! চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দিল্লি পুলিশের জালে দেবেন্দ্র
খুন করে মরদেহ কুমিরকে খাওয়াত চিকিৎসক! চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দিল্লি পুলিশের জালে দেবেন্দ্র
তাকে সিরিয়াল কিলার তকমা ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে ক্রাই ব্রাঞ্চ। দিল্লি পুলিশ গত কয়েক মাস ধরে হন্যে হয়ে খুঁজেছে চিকিৎসক দেবেন্দ্র শর্মাকেষ। ৫০ টি মতো খুন করে , এখনও সে গুনে উঠে বলতে পারেনা সঠিক কতজনকে সে মেরেছে।
এর আগে জয়পুরের জেলে বন্দি ছিল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক দেবেন্দ্র। এরপর ২০ জানুয়ারি সে প্যারোলে ছাড়া পায়। এরপর গা ঢাকা দেওয়ার পালা শুরু। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা দেবেন্দ্র গ্রামের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থেকে যায়। হন্যে হয়ে খোঁজার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করতেই, একের পর এক কুকাণ্ডের কথা ফের স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে এই চিকিৎসক।
বহু বছর আগে, এক ক্লিনিক চালাত দেবেন্দ্র। সেখান থেকে কিডনি পাচার হতো। লোভের জেরে আরও বেশি পেতে চেয়েছিল দেবেন্দ্র। এরপর শুরু হয় মানুষ খুন। আলিগড়ের বুকে একের পর এক খুন করে দেবেন্দ্র। নিজের শিকারকে তিনে ফেলে , সে আলিগড়ে নিয়ে আসত। সেখানে গভীর জঙ্গলে খুন করত দেবেন্দ্র এরপর সেই লাশ কাসগঞ্জের হাজারা খালে ফেলে দিত। যাতে সেই খালে থাকা কুমির তা খেয়ে নেয়।
কুমির মতদেহ খেলে , খুনের নিশানা থাকবে না,এমনটা ভেবেই দেবেন্দ্রর কাছে মানুষ খুন কার্যত নেশা হয়ে যায়। মূলত ট্যাক্সি চালকদের খুন করত দেবেন্দ্র। তারপর ট্যাক্সিগুলিকে স্থানীয় এলাকায় প্রচুর দামে বিক্রি করত সে। এরপর লরি ছিনটাই করে, তাতে থাকা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বার করত দেবেন্দ্র। সেই সিলিন্ডার চড়া দামে এলাকায় বিকরি করত সে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি সংক্রান্ত ঘটনাতেই প্রথমে দেবেন্দ্র গ্রেফতার হয়। এরপর মুখোশ খোলে তার। থানায় জেরার মুখে সে জানিয়ে বসে ৫০ টি খুনের কথা। উল্লেখ্য, জয়পুর জেলে বন্দি থাকার পর, প্যারোলে বেরিয়ে নতুন জীবনও শুরু করে দিয়েছিল এই চিকিৎসক। স্থানীয় এক বিধবাকে বিয়েও করে নেয় সে। কিন্তু লোভের শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক।
যোগীর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানির অভিযোগ আনা সমাজসেবিকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা