অ্যালোপ্যাথি ওষুধের নিদান দিতে পারবেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা, উত্তরাখণ্ডের সিদ্ধান্তে চটল আইএমএ
অ্যালোপ্যাথি ওষুধের নিদান দিতে পারবেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা, উত্তরাখণ্ডের সিদ্ধান্তে চটল আইএমএ
ফের চটল অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের শীর্ষ সংস্থা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল (আইএমএ)। সোমবার উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ রোগীদের দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এতেই বেজায় ভুব্ধ হয়েছে আইএমএ এবং তারা জানিয়েছে যে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবৈধ।
আয়ুর্বদে চিকিৎসকদের দাবি
যদিও এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে রাজ্যের আয়ুষ মন্ত্রী হরক সিং রাওয়াত জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াত দীর্ঘকালীন অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের এটা বহুদিনের দাবি ছিল। মন্ত্রী বলেন, 'আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছিলেন যে তাঁরা হিমাচল প্রদেশের মতো এ রাজ্যেও অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দেওয়ার অনুমতি পেতে পারেন কিনা?' আয়ুষ মন্ত্রী দাবি করেছেন যে এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য সেবা পরিষেবায় চূড়ান্ত প্রভাব ফেলবে।
উপকৃত হবে রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা তাঁদের (আয়ুর্বেদ চিকিৎসক) দাবি মেনে নিয়ে জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ প্রেসক্রাইবড করার অনুমোদন দিয়েছি। আমরা আশাবাদী যে এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ প্রচুর সহায়তা পাবেন কারণ সেখানে খুব কমই (অ্যালোপ্যাথি) চিকিৎসক রয়েছেন।' আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসে উপস্থিত হয়েছে যেখানে আয়ুর্বেদের চেয়ে সেরা অ্যালোপ্যাথি এই বিতর্কে ফুটছে গোটা দেশ।
ক্ষুব্ধ আইএমএ
তবে উত্তরাখণ্ডের এই সিদ্ধান্তকে মোটেও সুনজরে দেখছে না আইএমএ। আইএমএ উত্তরাকণ্ডের সভাপতি ডাঃ অরবিন্দ শর্মা জানিয়েছেন যে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিতর্কিত। তিনি প্রশ্ন করেন, 'যদি আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা অ্যালোপ্যাথি ওষুধই রোগীদেরকে দেবেন তাহলে অ্যালোপ্যাথি নিয়ে এত প্রশ্ন কেন উঠছে?' আইএমএ উত্তরাখণ্ডের ডাঃ অজয় খান্না এর সঙ্গে যোগ করে জানিয়েছেন যে সরকার আইন সম্পর্কে অবহিত নয়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই বেআইনি।
অ্যালোপ্যাথি বনাম আয়ুর্বেদ
প্রসঙ্গত, মে মাসে একটি ভিডিওতে যোগগুরু রামদেব অ্যালোপ্যাথিকে 'বোকা বিজ্ঞান' বলে দাবি করার পরই অ্যালোপ্যাথি ও আয়ুর্বেদের মধ্যে কে সেরা তা নিয়ে তরজা শুরু হয়ে যায়। রামদেবের দাবি ছিল যে রেমডেসিভিরের মতো ওষুধও কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ব্যর্থ। এই অভিযোগের পরই উত্তরাখণ্ড আইএমএ বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করে।