বাবরির আকারেই হবে অযোধ্যার নয়া মসজিদ! তৈরি হবে হাসপাতাল, জাদুঘরও, জানাল ট্রাস্ট
গত মাসেই মহাসমারোহে অযোধ্যার রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র। গত বছরের সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বর্তমান রাম মন্দির থেকে কিছু দূরেই অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদ তৈরিরও কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, আগের বাবরি মসজিদের সমানাকারের হতে চলেছে এই নতুন মসজিদ।
১৫ হাজার বর্গফুট এলাকার মধ্যে হবে মসজিদ
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট অযোধ্যার ধন্নিপুরে বাবরি মসজিদের সমান আকারের একটি মসজিদ তৈরি করবে বলে জানা যাচ্ছে। এই মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি হাসপাতাল, গ্রন্থাগার ও একটি জাদুঘর থাকবে বলেও খবর। ১৫ হাজার বর্গফুট এলাকার মধ্যে হবে মসজিদটি। বাকি জমিতে অন্যান্য নির্মাণকাজ করা হবে বলে ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে।
গত বছরই বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট
বিতর্কিত অযোধ্যা মামলা নিয়ে প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে মামলা চলে সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই রায়ে জানায় অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি পাবে হিন্দু পক্ষ। ওই রায়েই সুন্নি ওয়াকিফ বোর্ডকে অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান পাঁচ সদস্যের বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
মসজিদ কমপ্লেক্সে আর কি কি সুযোগ সুবিধা থাকছে ?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাম মন্দির থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বাবরি মসজিদের বিকল্প পাঁচ একর জমি পেয়েছে উত্তর প্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এদিকে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হলেও অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ওই জমিতে সর্বাগ্রে হাসপাতাল তৈরি করতে চায় ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।
কি বললেন আইআইসিএফ-র সচিব ?
এছাড়াও একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সহ মসজিদ সন্নিহিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একটি জাদুঘর তৈরির ব্যাপেরও সবুজ সংকেত দিয়েছে ট্রাস্ট। শনিবার ইন্দো-ইসলামিক কালচার ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) সচিব ও মুখপাত্র আতাহার হুসেন বলেন, "ধন্নিপুরেই মসজিদটি নির্মিত হবে। এখানেই ইন্দো-ইসলামিক গবেষণা ইনস্টিটিউটে জনসাধারণের জন্য হাসপাতাল, জাদুঘরের মতো সুবিধা থাকবে। ওই যাদুঘরটি নির্মাণের জন্য পরামর্শক কিউরেটারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক পুষ্পেশ পান্থকে।"
ব্যবসার ক্ষেত্রে পূর্বভারতে প্রথম স্থানে মমতার বাংলা! দরাজ সার্টিফিকেট মোদী সরকারের