অযোধ্যার রায় দিয়ে বিতর্কিত মামলার সমাপ্তি ঘটিয়েছে শীর্ষ আদালত
সাত দশক ধরে ঝুলে থাকা জমি বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ১০৪৫ পাতার রায় দিয়েছে।
সাত দশক ধরে ঝুলে থাকা জমি বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ১০৪৫ পাতার রায় দিয়েছে। যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ছিল তাতে ছিলেন বিচারপতি এস আবদুল নাজিরও।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড যে বারবার বিতর্কিত রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ জমি মামলা বলে দাবি করেছিল, সেটা সমূলে শেষ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জমিটি যে বিতর্কিত তা প্রমাণ করতে পারেনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তাঁদের দাবি প্রমাণ করার জন্য সব রকতম সুযোগ দিয়েছিল আদালত। প্রত্নতাত্বিকদের দিেয় জমির পরিদর্শন করানো থেকে শুরু করে মন্দির এবং মসজিদের প্রাচীনত্ব বিচার করা সব কিছুই করিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রমাণ সাপেক্ষেই পুরো রায় দেওয়া হয়েছে। যার জন্য রায় বেরোনোর পর এই বিতর্ক টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ রাখেনি সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৫ সালে প্রথম বিচারপতি নাজিরের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল বেঞ্চ। কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একটি জমি বিতর্ক নিয়ে যে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি নাজির, সেই রায়কে সামনে রেখেই অযোধ্যা মামলার রায় সাজানো হয়েছিল।
এছাড়াও এই মামলা বাদী এবং বিবাদী দুই পক্ষকেই সমান যুক্তি এবং তর্কের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই তাঁদের দাবির সমর্থনে পর্যাপ্ত তথ্য পেশ করেছেন। শীর্ষ আদালতের এই রায় ভবিষ্যতে মন্দির মসজিদের যেকোনও মামলার আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের কোনও সমস্যা হলেই এই অযোধ্যা রায়কে গাইডলাইন ধরেই এগোনো হবে।
এর আগে ১৯৯১ প্রার্থনা আইনের বলা হয়েছিল সব ধর্মীয় স্থানের প্রার্থনার অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট থেকে সব ধর্মীয়স্থানের ক্ষেত্রেই এই আইন গ্রহনযোগ্য হবে। সেকারণেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যা মামলার রায়দানের সময় সেই আইনের কথাও উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা। কাজেই কোনও ভাবেই হিন্দুদের প্রার্থনার অধিকার লঙ্ঘন করা যাবে না সেই জমিতে। অথচ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড বিতর্কিত জমিতে যে ইদগাহের দাবি জানিয়েছিল তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রত্ন তত্ববিদরা উল্টে মাটি খুঁড়ে হিন্দু স্থাপত্যের নিদর্শন পেয়েছেন। কাজেই মসজিদ যে পরে তৈরি করা হয়েছিল তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
অযোধ্যা রায়ের পর সরযূ-তীরে কী দেখা যাচ্ছে! কার্তিক পূর্ণিমায় ঐতিহাসিক নগরীর পরিস্থিতি কেমন
বেঁচে থাকতে অযোধ্যা রায় দেখতে পেরে খুশি, জানালেন রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী দলিত নেতা