রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত অসম! সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে জারি কার্ফু
রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত অসম! সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে জারি কার্ফু
বুধবার অযোধ্যার রামমন্দিরের ভূমিপুজোর রেশ সারা দেশ জুড়েই বহমান ছিল। এদিকে ওইদিনই অসমের শোণিতপুরে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর পর বজরং দলের একটি বাইক মিছলকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয় বলে জানা যায়। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অসমের শোণিতপুর জেলায় জারি করা হয় কার্ফু।
সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে আহত ১০
সূত্রের খবর, বুধবার রামমন্দিরের ভূমিপুজোর পর অসমের ঢেকিয়াজুলি থানার অন্তর্গত ঠেলামারা ভরাশিংরি গুরুদুবা গ্রামের বজরং দলের দলের সদস্যরা বাইক বাহিনী নিয়ে উদযাপনে বেরোয়। সূত্রের খবর,এরপরেই দুটি ভিন্ন সাম্প্রদায়িক দলের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার জেরে উভয়পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
জারি হয় অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু
ঘটনার পরেই ঢেকিয়াজুলি থানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়। শোনিতপুরের পুলিশ সুপার নুমল মাহাতো জানান, " আমরা ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু'জনকে আটক করেছি। গত রাতের পর থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন করে কোনোও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি আপাতত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে"।
পুলিশে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা অঞ্চল
পুলিশসূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাড়তি নিরাপত্তা হিসাবে পুরো গোটা অঞ্চলই পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি, গোটা পরিস্থিতি যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যান অসমের অ্যাডিশন্যাল ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ(আইন শৃঙ্খলা) জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং। অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে শোনিতপুরের পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি দেব মোহান্তও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
বজরং দলের স্লোগান ঘিরেই তৈরী হয় অশান্তি
জানা যাচ্ছে, গেরুয়া বাহিনী বাইক মিছিলে বিতর্কিত স্লোগান ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত। রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষ্যে এদিন সন্ধ্যায় বজরং দলের সদস্যরা ভোড়া সিঙ্গোরির একটি মন্দিরে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে স্লোগান দেওয়ার সময়েই উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এছাড়াও করোনা মহামারীকালে এমন জটলা নিয়েও প্রশ্ন তুলতেই সৃষ্টি হয় অশান্তি। এরপর এই হাতাহাতি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে রূপান্তরিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে,পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে এবং পরে শূন্যে গুলিও চালায়। যদিও সূত্রে খবর, মিছিলের জন্য আগাম কোনও অনুমতি ছিল না বজরং দলের কাছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে প্রশাসনের আন্দরে কী ঘটেছিল! লেফ্টনেন্ট গর্ভনরের ইস্তফা ঘিরে একাধিক জল্পনা