অযোধ্য শুনানি থেকে সরলেন বিচারপতি! কেন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ প্রধান বিচারপতি দিলেন ব্যাখ্যা
সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার অযোধ্যার শুনানি পিছিয়ে গেল। এদিন সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ইউইউ ললিত নিজেকে শুনানি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর শুনানি পিছিয়ে যায় ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার অযোধ্যার শুনানি পিছিয়ে গেল। এদিন সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ইউইউ ললিত নিজেকে শুনানি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর শুনানি পিছিয়ে যায় ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান ২৯ জানুয়ারি ফের বসবে সাংবিধানিক বেঞ্চ। চূড়ান্ত শুনানির তারিখ ঠিক হবে ওই দিন।
বৃহস্পতিবার
আদালত
বসার
পরেই
মুসলিম
আবেদনকারীদের
পক্ষ
থেকে
দাঁড়ানো
সিনিয়র
অ্যাডভোকেট
রাজীব
ধওয়ান
প্রধান
বিচারপতি
রঞ্জন
গগৈকে
উদ্দেশ্য
করে
বলেন,
বিচারপতি
ললিত
১৯৯৪
সালে
তৎকালীন
মুখ্যমন্ত্রী
কল্যাণ
সিং-এর
আইনজীবী
হয়ে
লড়াই
করেছিলেন।
আইনজীবী ধওয়ান এরপর বলেন, এর আগে এই মামলা তিন বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নিজের সিদ্ধান্তে বিষয়টিকে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরপর ওই আইনজীবী বলেন, পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করতে গেলে বিচারবিভাগের আদেশের প্রয়োজন হয়।
প্রধান বিচারপতি যদিও, সুপ্রিম কোর্টের আইন দেখিয়ে বলেন, যে কোনও বেঞ্চ ২ বিচারপতির হতেই হবে। ফলে সেখানে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠনে কোনও অসুবিধা নেই। এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, বিষয়টির গুরুত্ব, পরিস্থিতি এবং যে পরিমাণ রেকর্ড রয়েছে, তা বিবেচনা করেই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, একটি ঘরে রাখা ৫০ টি সিল করা ট্রাঙ্কে রাখা নথি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ট্রাঙ্কের মধ্যে পরাখা নথি সংস্কৃত, আরবি, উর্দু, হিন্দি, পার্সিয়ান এবং গুরুমুখিতে রয়েছে। যার অনুবাদ করতে হবে।
এই শুনানির সঙ্গে রামমন্দিরের শুনানির কোনও সম্পর্ক নেই বলে এদিন দাবি করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়ান স্বামী।
গতবছরের ২৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ ২-১-এ ওই শুনানি ৫ সদস্যের বেঞ্চের কাছে না পাঠাতে সিদ্ধান্ত নেন।
গত
ছয়
দশক
ধরে
পড়ে
রয়েছে
ভারতের
সবথেকে
বড়
রাজনৈতিক
এই
মামলা।
শাসক
বিজেপির
সদস্য,
বেশ
কিছু
সহযোগী
দল
এবং
দক্ষিণপন্থী
একাধিক
সংগঠন
অর্ডিন্যান্সের
মাধ্যমে
সাধারণ
নির্বাচনের
আগেই
রামমন্দির
তৈরির
কাজ
শুরুর
দাবি
করেছিলেন।
গতবছরেই
সুপ্রিম
কোর্ট
এই
মামলার
তাড়াতাড়ি
শুনানির
দাবি
খারিজ
করে
দেয়।
৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আবেদন শোনা হয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর ডিভিশন বেঞ্চ ১০ জানুয়ারি শুনানি দিন ধার্য করেন।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদের ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালা এবং নিরেমাহী আখড়ার মধ্যে সমান তিনভাগে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়ে।