অযোধ্যার রামজন্মভূমির নিচে কি কবরস্থান রয়েছে! প্রশাসন দিচ্ছে কোন তথ্য
অযোধ্যার রামজন্মভূমির নিচে কি কবরস্থান রয়েছে! প্রশাসন দিচ্ছে কোন তথ্য
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি তীর্থ নিয়ে হিন্দু মহাসভা সহ একাধিক শিবির তৎপর হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে মন্দির নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশে শুরু হয়েছে ট্রাস্ট গঠনের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে অযোধ্যার স্থানীয়দের দাবি, যে ৪-৫ একর জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের কথা হচ্ছে, সেখানে আগে ছিল মুসলিমদের কবর। আর তা নিয়েই এবার বক্তব্য রেখেছে অযোধ্যার প্রশাসন।
স্থানীয়রা চিঠিতো কোন দাবি করেছেন?
স্থানীয়ের দাবি, ওই এলাকায় ৪ থেকে ৫ একর জমি ছিল মুসলিম কবরস্থল। আর সেখানে যাতে রাম মন্দির তৈরি না হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে, ওই চিঠিতে। এই চিঠি তাঁরা সোজাসুজি পাঠিয়েছেন রাম মন্দির ট্রাস্টের কাছে। এমন চিঠি ট্রাস্টের কাছে যেতেই শুরু হয়ে যায় তোলপাড়।
অযোধ্যার প্রশাসন কী বলছে?
অযোধ্যার প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, যে জায়গায় রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে সেই জায়গায় আগে কোনও কবরস্থান ছিল না। এমনই তথ্য জানিয়েছে অযোধ্যার প্রশাসন। যোগী সরকারের প্রশাসনের তরফে সাফ বার্তায় জানানো হয়েছে, যে জায়গায় রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে সেই ৬৭ একর জমির নিচে কোনও কবর নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে অযোধ্যা প্রশাসন।
অযোধ্যার প্রশাসনের কোন যুক্তি?
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের প্রশাসন জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যখন অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে, তখন সমস্ত দিক বিচার করেই তার রায় দিয়েছে। আর তার সেখানেই সমস্ত বিষয়টি স্পষ্ট করা রয়েছে।
বিস্ফোরক চিঠিতে আর কোন তথ্য?
এর আগে , স্থানীয়দের তরফের আইনজীবী এমআর শমশাদের দাবি ছিল, ১৮৫৫ সালের দাঙ্গায় ওই এলাকায় ৭৫ জন মুসলিমের হত্যা হয়। আর এই ৪ থেকে ৫ একর জমিতে সেই মুসলিমদের অন্ত্যেষ্টীপর্ব সম্পন্ন হয়। এমন কবরস্থানে মন্দির নির্মাণ ঘিরে যেমন প্রশ্ন ওঠে, তেমনই আইনজীবীর দাবি, যে জায়গায় মুসলিমদের কবরস্থল সেটিতে অধিকারও মুসলিমদের। ফলে রাম মন্দিরের এলাকারা মালিকানা ঘিরেও তাঁরা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন।