অযোধ্যাদের বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে মন্দির, রায় সুপ্রিম কোর্টের, একনজরে রইল টাইমলাইন
৯ নভেম্বর রায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ঐতিহাসিক অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়দান করেন
রামমন্দির
আগে
না
বাবরি
মসজিদ
আগে
এই
নিয়ে
বিবাদ
চলছে
সেই
১৮৫৩
সাল
থেকে।
১৫২৮
সালে
বাবরি
মসজিদ
অযোধ্যায়
তৈরি
হয়েছিল
বলে
দাবি
করা
হয়।
হিন্দু
সংগঠনের
দাবি
মন্দির
ভেঙেই
সেসময়
বাবরি
মসজিদ
তৈরি
করা
হয়েছিল।
এই
নিয়ে
দুই
সম্প্রদায়ের
মধ্যে
প্রথম
সংঘর্ষ
বাঁধে
ব্রিটিশ
আমলে
১৮৫৯
সালে।
ব্রিটিশ
শাসকরাই
প্রথম
মন্দির
এবং
মসজিদের
মাঝে
বেড়া
তৈরি
করে
দিয়েছিল।
এই
বিতর্কটি
প্রথম
আদালতে
যায়
১৯৪৯
সালে।
সেবারই
রামের
মূর্তি
স্থাপন
করা
হয়েছিল
মসজিদের
ভেতরে।
তারপর
থেকে
মামলা
চলছেই।
প্রায়
১৬০
বছর
ধরে
চলা
এই
বিতর্কের
অবসান
হল
আজ।
৪০
দিনের
ম্যারাথন
শুনানির
পর
১৬
অক্টোবর
রায়দান
স্থগিত
৮ নভেম্বর ঘোষণা করা হয় রায়দান শনিবার ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা
৯ নভেম্বর রায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ঐতিহাসিক অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়দান করেন। রায় গিয়েছে হিন্দু মামলাকারীদের পক্ষে। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রায় দেয় বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরি হবে আর মসজিদ তৈরির জন্য পৃথক জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। তিন মাসের মধ্যে সেখানে মন্দির তৈরি করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর
১৯৯২ সালে ঘটেছিল সেই ঘটনা। ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে প্রায় ২কর সেবক গুঁড়িয়ে দিয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ ঘটনার তদন্তে অযোধ্যা কমিশন তৈরি করেছিল তখনকার কংগ্রেস সরকার।
১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল
অযোধ্যার সেই বিতর্কিত এলাকায় জমি অধিগ্রহনের বিল পাস হয় এই বছর। সেই বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইসমাইন ফারুকি সহ বেশ কয়েকজন।
১৯৯৪ সাল
সেই বছরই শীর্ষ আদালত জানায় মসজিদ না থাকলেও নমাজ পড়া যায়।
২০০২ সাল
২০০২ সালে তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুরু হয় বিতর্কিত জমি মামলার শুনানি। বাবরি মসজিকে স্থানে রামমন্দির ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় আর্কিয় লজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে।
২০০৩ সাল
অযোধ্যায় কোনও রকম ধর্মীয় আচরণ নিষিদ্ধ করে সুপ্রিম কোর্ট। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া তল্লাশি চালিয়ে সেখানে মন্দিরের অস্তিত্বের সন্ধান পায়। এবং আদালতকে জানায় মুসলিমরা সেই অংশ নষ্ট করেছে।
২০০৯ সাল
কংগ্রেস সরকারের গঠিক অযোধ্যা কমিশন এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে। কিন্তু সেই রিপোর্ট কখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
২০১০ সাল
এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। এক তৃতীয়াংশ জমি যাবে রাম লাল্লা বিরাজমানের কাছে। এক তৃতীয়াশ জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে এবং বাকি জমি দেওয়া হবে নীলমনি আখারাকে। হাইকোর্টের রায়ের পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলাটি।
২০১১ সাল
৯ মে সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
২০১৬ সাল
বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্যে আবেদন জানায়।
২০১৭ সাল
২১
মার্চ
সুপ্রিম
কোর্ট
আদালতের
বাইরে
মিটিয়ে
সমস্যা
মিটিয়ে
নেওয়ার
কথা
বলে।
৩০
মে
এল
কে
আদবানী,
উমা
ভারতী,
মুরলি
মনোহর
জোশী,
বিনয়
কাটারিয়ার
বিরুদ্ধে
বাবরি
মসজিদ
ধ্বংসের
ষড়যন্ত্রের
অভিযোগ
দায়ের
হয়।
৮
অগস্ট
সুন্নি
ওয়াকফ
বোর্ড
শীর্ষ
আদালতকে
জানায়
বিতর্কিত
জমির
কিছু
দূরে
মসজিদ
তৈরি
হতে
পারে।
১১
অগস্ট
সুপ্রিম
কোর্ট
এই
মামলার
১৩
জন
আবেদনকারীর
শুনানি
শুরু
করে।
২০১৮ সাল
ডিসেম্বরের ৫ তারিখ অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
২০১৯
দফায় দফায় দফায় শুনানির পর ১৬ অক্টোবর শেষ হয় অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার শুনিনি। রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। ৮ নভেম্বর জানানো হয় শনিবার ৯ নভেম্বর মামলার রায়দান করবে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ।
নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় রায়দান পর্ব। সাড়ে এগারোটার সময় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে বেঞ্চ। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি হিন্দুদের হাতে দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। কেন্দ্রকে ৩ মাসের মধ্যে সেখানে মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে মসজিদ তৈরির জন্য আলাদা করে ৫ একর জমি দেওয়ার কথা জানিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। রায় শোনানোর সময় বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায় এখন সেখানে বাবরি মসজিদ রয়েছে সেখানে আগে নমাজ পড়া হত বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
অযোধ্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় একনজরে
অযোধ্যা মামলার নেপথ্যে রয়েছে যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা