অযোধ্যায় জঙ্গি হামলার মামলায় ৪ দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, বেকসুর খালাস একজন
২০০৫ সালে অযোধ্যায জঙ্গি হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চার জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল এলাহাবাদের বিশেষ আদালত। বেকসুর খালাস করা হয়েছে এক জনকে।
২০০৫ সালে অযোধ্যায জঙ্গি হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চার জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল এলাহাবাদের বিশেষ আদালত। বেকসুর খালাস করা হয়েছে এক জনকে। বিশেষ আদালতের বিচারক দীনেশ চাঁদের এজলাসে আজ মামলার রায়দান হয়। এই চার দোষীর বিরুদ্ধেই জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল। ডঃ ইরফান, আশিক ইকবাল, শাকিল আহমেদ, মহম্মদ নাসিম, এবং মহম্মদ আজিজের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। এদের মধ্যে ডঃ ইরফান উত্তর প্রদেশের সীতাপুরের বাসিন্দা। বাকিরা জম্মু-কাশ্মীরের। নৈনি জেলের ভেতরেই শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ৬৩ জনের বয়ান নেওয়া হয় এই মামলায়।
তবে মূল সাক্ষী ছিলেন জঙ্গিদের গাড়ির চালক রেহান আলম আনসারি। ছয় জঙ্গি তাঁকে গািড় চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। জঙ্গিরা ঠিক কোথায় যাচ্ছে এবং কী কারণে যাচ্ছে সেসম্পর্কে অবগত ছিল না সে।
হিন্দু তীর্থ যাত্রীর বেশে নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকেছিল তারা। হামলা চালানোর আগে রাম মন্দিরে প্রার্থনা করতে যাব বলেছিল তাঁরা। তারপরেই তাঁকে গািড় থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে পাঁচ জঙ্গি টাটা সুমো গাড়িটি নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিসকে একথাই জানিয়েছিল গাড়ির চালক। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলেছিল আধাসেনা। পাঁচ জঙ্গিকে গুলি করে নিকেষ করে তাঁরা। গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই সাধারণ নাগরিকেরও। সাত আধাসেনা জখম হয়েছিলেন। জঙ্গিরা জৈশ-ই-মহম্মদের ছিল বলে পড়ে জনা যায়