বায়ুসেনার পাইলট অবনীকে কি চেনেন, তাঁর কীর্তির কথা জানলে গর্বিত হবেন
যুদ্ধ বিমান একা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বা সাহস সকলের থাকে না। কিন্তু অবনী চতুর্বেদীর মতো ভারতীয় মহিলারা অসাধ্যকে সাধন করার মধ্যেই খুঁজে পান জীবনবোধ।
যুদ্ধ বিমান একা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বা সাহস সকলের থাকে না। কিন্তু অবনী চতুর্বেদীর মতো ভারতীয় মহিলারা অসাধ্যকে সাধন করার মধ্যেই খুঁজে পান জীবনবোধ। তাই প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে যুদ্ধ বিমান একা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস গড়লেন অবনী। বৃহস্পতিবার গুজরাতের জামনগর এয়ারবেস থেকে মিগ২১ বাইসন যুদ্ধবিমান উড়িয়ে প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যান অবনী। এই যুদ্ধবিমান প্রথমবার মহিলা পাইলট দ্বারা চালানো শুরু হয় ২০১৫ সালে। সেই পাইলট দলেও ছিলেন অবনী। কে এই অবনী? জানুন তাঁর সম্পর্কে।
কে অবনী?
মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার বাসিন্দা অবনী। ২৪ বছরের ছোট্টখাট্টো অবনী, বনস্থলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন। এরপরই ফ্লাইং ক্লাবে যুক্ত হন তিনি।
হায়দরাবাদে ট্রেনিং
বায়ুসেনাতে যোগ দেওয়ার পর হায়দরাবাদের এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ হয় অবনীর। অবনী জানান, তাঁর সেনাতে যোগদানের উৎসহ তাঁর দাদা, যিনি নিজেও সেনায় রয়েছেন।
বিশ্বমঞ্চে সম্মান
একা মহিলা পাইলট হিসাবে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর মতো সম্মানের এই প্রাপ্তি ,অবনী চতুর্বেদীকে আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও খ্যাতি দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন, পাকিস্তান, ইজরায়েল, ইত্যাদিক দেশের সঙ্গে এখন ভারতও গর্বের সঙ্গে বলতে পারছে , যে এদেশেও একা মহিলা পাইলট একটি যুদ্ধবিমান উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন!
তৃতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ
কর্ণাটকে বিদারে অবনীকে তৃতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরই সুখোই ও তেজসের মতো বিমান চালাতে দেওয়া হবে।
অবসর সময়ে কী করেন তিনি?
এমনিতে অবসর সময়ে দাবা খেলতে ভালোবাসেন অবনী। তাছাড়াও টেবিল টেনিস ও আঁকাঝোঁকা করতে খুবই ভালোবাসেন দেশের এই গর্ব।