৩ মাসে ২ লাখ মানুষ কর্মহীন! উদ্বিগ্ন অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা মন্ত্রীর দ্বারস্থ
গত ৩ মাসে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। দেশের অটোমোবাইল সেক্টর ক্রমেই অধঃপতনের দিকে। ধীরে ধীরে ধুঁকতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গত ৩ মাসে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। দেশের অটোমোবাইল সেক্টর ক্রমেই অধঃপতনের দিকে। ধীরে ধীরে ধুঁকতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এমন এক পরিস্থিতিতেই অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সংস্থার মালিকরা দেখা করলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে।
গত দুই দশকের মধ্যে অটোমোবাইল সেক্টরে সবচেয়ে খারাপ হাল ২০১৯ সালে। ক্রমেই পড়ছে এই সেক্টরের অবস্থা। কিছুতেই উঠে আসছে না পরিস্থিতির সমাধানের রাস্তা। আর সেই জন্যই দেশের অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে তাঁর সাহায্যের আশ্বাস চাইলেন ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা। এদিন ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিঙ্কেশ গুলাটি জানান, ২০০১ সালের পর থেকেই এই অটোমোবাইল সেক্টর খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত ২থেকে ৩ মাসে ২ লাখ কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা দাবি তোলেন, যেকোনও প্রকারেই হোক না কেন, এই সেক্টরের পরিস্থিতি সুবিধাজনক করে তুলতে হবে। এদিন ১০ থেকে ১৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছন অর্থমন্ত্রীর কাছে। পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য কার্যকরী নীতি নেওয়া হোক সরকারের তরফে, এমনই দাবি অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির মালিকদের। এজন্য তাঁরা চেয়েছেন জিএসটি যেন এই সেক্টরে ২৮ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়। পুরনো গাড়ির পরিত্যক্ত জিনিসের ক্ষেত্রে যেন কার্যকরী নীতি নেওয়া হয়। পাশাপাশি অর্থসরবরাহের ক্ষেত্রেও যেন ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুবিধাজনক পদক্ষেপ তাঁরা সরকারের থেকে আশা করছেন বলে জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।