জ্যোতিরাদিত্যর ঘর ওয়াপসি, বর্ণনা পিসি যশোধরা রাজের! তুলে ধরলেন আত্মসম্মানের কথা
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন পিসি তথা মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক যশোধরা রাজে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন পিসি তথা মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক যশোধরা রাজে। এই পদক্ষেপের জন্য তিনি জ্যোতিরাদিত্যর প্রশংসাও করেছেন। জাতীয় স্বার্থেই তিনি এই কাজ করেছেন বলেছেন যশোধরা রাজে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে তিনি ঘর ওয়াপসি বলে বর্ণনা করেছেন।
জনসংঘ ও বিজেপির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাজমাতার
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন জনসংঘ এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিজেপির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, যশোধরার মা তথা জ্যোতিরাদিত্যের ঠাকুরমা রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়া। পাশাপাশি এদিন যশোধরা বলেন, তাঁর দলের শ্রদ্ধা রয়েছে জ্যোতিরাদিত্যের পাশাপাশি ভাই মাধবরাও সিন্ধিয়ার জন্যও। যিনি ৯ বারের বিধায়ক ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন।
জ্যোতিরাদিত্যের ঘর ওয়াপসি
যশোধরা রাজে বলেছেন, এটা জ্যোতিরাদিত্যের ঘরওয়াপসি। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন, তা রাজমাতার প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই বলে মন্তব্য করেছেন যশোধরা রাজে। জ্যোতিরাদিত্যের পদক্ষেপকে জাতীয় স্বার্থেই নেওয়া বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জ্যোতিরাদিত্যের অপর পিসি বসুন্ধরা রাজে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রত্যেকের দরকার আত্মসম্মান
যশোধরা রাজে আরও বলেন, সব শেষে সবারই আত্মসম্মান রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি কংগ্রেসে মতবিরোধের কথা উল্লেখ করেন। যসেই ঘটনা থেকে ইস্তফা বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ে নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে(জ্যোতিরাদিত্য) মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রাজনীতিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
বিমান দুর্ঘটনায় বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়ার মৃত্যুর পরে ৩০ বছর বয়সে রাজনীতিতে যোগ দেন। মধ্যপ্রদেশের গুণা থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই আসনম থেকে ফের জয়ী হন এবং প্রথম ইউপিএ মন্ত্রিসভায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে ওই একই আসন থেকে জয়ী হলেও ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।
মারাা পরিবারের সদস্য সিন্ধিয়ারা স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে মধ্যভারতে গোয়ালিয়র রাজ্যের শাসক ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজনীতির আনুগদত্যে পরিবার ভেঙে যায়।