গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে মদ পাচারের চেষ্টা বিহারে, ধৃত এক
গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে মদ পাচারের চেষ্টা বিহারে, ধৃত এক
প্রায় ছ'বছর ধরে বিহারে মদ বিক্রি বন্ধ রেখেছে নীতীশ সরকার। ২০২২ সালে আবারও এই মদ নিষিদ্ধকারী আইনটিকে (বিহার লিকার ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২) নতুনভাবে আরও কড়া করেছে বিহার সরকার৷ নীতীশ রাজ্যে মদ খেতে গিয়ে ধরা পড়লেও রয়েছে বড় ফাইনের ব্যবস্থা৷ তবে তাও কি আটকে থাকছে বিহারে মদ বিক্র? হয়ত পুরোপুরি নয়৷ কারণ মঙ্গলবার বিহারে গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ভরে মদ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি৷
মঙ্গলবার পাটনার পীরবাহর পুলিশ স্টেশনের কদমঘাটে এক ব্যক্তিকে মদ পাচারে হাতেনাতে ধরেছে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে একটি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে প্রায় ৫০ কেজি মদ পাচার করতে চেষ্টা করছিল ওই ব্যাক্তি৷ এলপিজি সিলিন্ডারটির নীচের অংশ কেটে সেখানে মদ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাটনার পুলিশ৷ মদ পাচারের খবর পেয়ে কদমঘাট এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এবং সেখানেই মদ সহ পাচারে মূল অভিযুক্ত ভুষণ রায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
সম্প্রতি একনজনসভা থেকে মদ বিক্রি ও পান করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ তিনি সরাসরি বলেছিলেন যারা মদ বেচে ও যারা মদ্যপান করে তারা পাপী। তিনি এও উল্লেখ করেছিলেন যে গান্ধীজী মদ্যপানের বিরোধী ছিলেন৷ এবং তিনিও মদ্যপানকারী ব্যক্তিদের একই দৃষ্টিতে দেখতেত। বিহার লিকার ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২ অনুসারে মদ বিক্রি বা মদ্যপানের অপরাধে প্রথমবার পুলিশের হাত গ্রেফতার হওয়া কোনও ব্যক্তিকে ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে৷ সঙ্গেও একমাসের জেলও হবে সেই ব্যক্তির। তবে এর আগে বিহার লিকার ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৮ অনুসারে প্রথমবার মদ্যপানে অভিযুক্তর জন্য জরিমানার পরিমান ছিল ৫০ হাজার টাকা সেখান থেকেই বেশ কিছুটা কমিয়ে ফাইন ২০০০-৫০০০ টাকা করা হয়। প্রসঙ্গত নীতীশ সরকারের আমলেই ২০১৬-র এপ্রিল থেকে বিহারে মদ বন্ধ রয়েছে৷