দেখা করায় কেজরিওয়ালের কাছে ক্ষমা চাইলেন আক্রমণকারীরা, চড় মারাটা বড় ভুল স্বীকারোক্তি অটোচালকের
গতকাল যে অটোরিক্সা চালক লালি কেজরিওয়ালের গালে চড় কষিয়েছিলেন তার সঙ্গে আগে দেখা করলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিকে কেজরিওয়ালের সামনে হাত জোড় করে ক্ষমাপ্রার্থণা করতে দেখা যায়। কেজরিওয়ালের পা ছোঁয়ার চেষ্টা করলে আটকে দেন কেজরি। লালি বলেন, আমি ক্ষমা চাইছি। ওনাকে আক্রমণ করে আমি ভীষণ বড় ভুল করেছি। ওনাকে আমি ভগবান বলে বিবেচনা করি।
আমি ক্ষমা চাইছি। ওনাকে(কেজরিওয়ালকে)আমি ভগবান বলে বিবেচনা করি : আক্রমণকারী লালি
কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করার কারণ জানতে চাওয়ায় এদিন শান্তভাবে লালি বলেন, আমি অখুশি ছিলাম। কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলাম। কিন্তু পারছিলাম না। জনতা দরবারেও গিয়েছি দেখা করার জন্য কিন্তু সেখানেও পারিনি। এই ঘটনায় বিস্মিত লালির বাড়ির লোকজনও। পরিবারসূত্রের খবর, লালি আপেরই সমর্থক। কেন যে তিনি এমন একটা ঘটনা ঘটালেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, উনি লালিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। গতকাল দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় কেজরিওয়ালের পথসভা চলাকালীন, মালা পরানোর বাহানায় কেজরিওয়ালের কাছাকাছি আসেন লালি। তারপর মালা পরিয়ে সপাটে চড় মারেন গালে। মুখের বা-অংশটি ফুলে গিয়েছিল কেজরিওয়ালের।
এর পরে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, আমাকে যতখুশি হেনস্থা কর। আমি নতি স্বীকার করব না। ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর ও প্রাণনাশকারী হামলা হবে। লড়াই করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে নতি স্বীকার করলে চলবে না। এর পরই তিনি আক্রমণকারীদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন।
লালি ছাড়াও ১৯ বছরের আবদুল ওয়াহিদের সঙ্গে দেখা করেন আপ সুপ্রিমো। যিনি শুক্রবার দিল্লির দক্ষিণপুরী এলাকায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর হামলা করেন। তাঁর ঘাড়ে ঘুষি মারেন আবদুল।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, গরীব, যাদের চাকরি নেই, তাদেরকে 'ব্রেনওয়াশ' করিয়েছেন কেউ কেউ। এইধরণের ঘটনা সাজানো, স্ক্রিপ্টেড