উমর খালিদের উপর গুলি ছোড়ার ঘটনার তদন্তে স্পেশাল সেল, জোর নাটক রাজধানীতে
নয়াদিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে জেএনইউ ছাত্রনেতা উমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। খালিদ অবশ্য অক্ষতই আছেন।
স্বাধীনতা দিবসের মাত্র দুদিন আগে, সোমবার বিকেলে, সংসদ ভবনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে জেএনইউ-এর ছাত্র নেতা উমর খালিদের উপর গুলি চলেছে। ঘটনায় উমর অক্ষত থাকলেও এই ঘটনা নিয়ে জোর নাটক শুরু হয়েছে রাজধানীতে। ডানপন্থীদের একাংশের দাবি উমরের উপর কোনও আক্রমণ হয়নি , সবটাই সাজান নাটক। পুলিশ কিন্তু বলছে ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর।
তদন্তে স্পেশাল সেল
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে স্পেশাল সেলের হাতে। পুলিশের বক্তব্য কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে হওয়া এই হামলার ঘটনা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কারণ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এই এলাকার নিরাপত্তা আগে থেকেই জোরদার করা হয়েছিল। তার মধ্যেই এই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। দুমাস আগেই অবশ্য উমর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল তাঁর। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজি করেছে।
|
সিসিটিভি ফুটেজ
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলের উল্টোদিকে আরবিআই ভবনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় হামলাকারীর ছবি ধরা পড়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে হামলাকারী ঘুলি চালানোর পর ঘটনাস্থলেই পিস্তলটি ছেড়ে পালাচ্ছে। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে তার সন্ধান করছে পুলিশ।
হামলায় ব্যবহৃত বন্দুক
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে ঘটনাস্থলে পাওয়া পিস্তলটি ৭.৬৫ মিলিমিটার বোরের দেশী পিস্তল। ওই পিস্তল থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে সেটি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে পিস্তলটি বেশ পুরনো, জঙ ধরা এবং সেটি জ্যাম হয়ে আছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি তাজা কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে।
|
উমরের উপর হামলাই হয়নি!
এদিকে সোমবারই এক সাংবাদিকের কথার সূত্র ধরে একাংশের ডানপন্থীরা উমরের উপর কোনও হামলাই হয়নি বলে ঝড় তুলে দেন। একটি হিন্দী সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ক্যামেরার সামনে জানিয়েছিলেন, কনস্টিটিউশন র্লাবের বাইরে একটি গুলি চলার ঘটনা ঘটলেও তা উমরকে লক্ষ্য করে হয়নি। সেসময় উমর ঘটনাস্থলেই ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি। পরে অবশ্য অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছে নিন্দিত হয়ে তিনি ভোল পাল্টে বলেন, ভিড়ের মধ্যে তিনি ঠিক মতো দেখতে পাননি।
|
প্রধানমন্ত্রীকে উমরের পরামর্শ
গত কয়েকবছরের মতো এই বছরও প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাধীনতা দিবসের তাঁর ভাষণের বিষয় সম্পর্কে দেশবাসীর কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন। তাঁর উপর আক্রমণের পর উমর খালিদ টুইটারে মোদীকে সাজেশন দিয়েছেন, 'বলুন আপনার সরকারের সমালোচনা যাঁরা করবে তাদের উপর কোনও আক্রমণ হবে না সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছেন।'