কাঠুয়াকান্ডে যে দাবিতে বিজেপি মন্ত্রীর গাড়িতে ঢিল
ফের কাঠুয়া ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় অভিযুক্তদের সপক্ষে বিক্ষোভ দেখান হল। সিবিআই তদন্ত চেয়ে জম্মু-কাশ্মীরের মন্ত্রী শামলাল চৌধুরীর কনভয়ে পাথর ছুড়ে হামলা চালানো উত্তেজিত জনতা।
ফের কাঠুয়া ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষে বিক্ষোভ দেখান হল। সিবিআই তদন্ত চেয়ে জম্মু-পাঠানকোট হাইওয়েতে মন্ত্রী শামলাল চৌধুরীর কনভয়ে পাথর ছুড়ে হামলা চালালো উত্তেজিত জনতা। মন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা প্রথমে হাইওয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কনভয় না দাঁড়ানোয় বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে তারা।
কাঠুয়া জেলার রাসনা গ্রামে এক ৮ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে এক সপ্তাহ ধরে গণধর্ষণ করা হয় এবং শেষে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই খবরে দেশব্যাপী ক্ষোভ জন্মেছে। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের অপরাধ দমন শাখায় এই ঘটনার তদন্ত করছে। কাঠুয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে তারা আটজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে। এই অভিযুক্তদের পরিবার থেকেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।
এর
আগে
সিবিআই
তদন্তের
দাবিকে
সমর্থন
করতে
দেখা
গিয়েছিল
মেহবুবা
মুফতি
সরকারের
দুই
বিজেপি
মন্ত্রী
-
চৌধুরী
লাল
সিং
ও
চন্দ্র
প্রকাশ
গঙ্গাকে।
যার
জেরে
তাদের
পদত্যাগ
করতে
হয়।
তবে
বিজেপি
নেতারা
পরে
বলেন
ওই
দুই
মন্ত্রীকে
তাদের
হঠকারিতার
জন্য
সরতে
হয়েছে।
কিন্তু
তাদের
সিবিআই
তদন্তের
দাবিতে
কোনও
ভুল
ছিল
না।
এই
নক্কারজনক
ঘটনার
প্রধান
অভিযুক্ত
সঞ্জী
রাম
শুক্রবার
সুপ্রিম
কোর্টে
নিজেকে
নির্দোষ
বলে
দাবি
করেছেন।
তিনিও
'প্রকৃত
অপরাধীদের'
ধরতে,
সিবিআই
তদন্তের
দাবি
জানিয়েছিলেন।
কাঠুয়ার এই ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনা আজ ভারতের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। গত মাসে ইন্ডিয়া গেটে-র সামনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে মোমবাতি-মিছিল হয়েছে। এই ভয়াবহ ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চুপ কেন, এনিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। জনগণের ক্রোধকে প্রশমিত করতে কেন্দ্র দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। নাবালিকা ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়, যাতে শিশু-ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের কথা বলা হয়েছে।