লাঠি, বাঁশ হাত মানিক সরকারের উপর হামলার চেষ্টা, পাল্টা প্রতিরোধ বামেদের! ক্রমশ চড়ছে ত্রিপুরার রাজনীতি
সামনেই বিধানসভা ভোট ত্রিপুরাতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত সেই রাজ্যকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, সে রাজ্যে বিজেপিকে কার্যত হারাতে মহাজোট তৈরির ইঙ্গিত তৃণমূলের। এই মর্মে বামেদের সঙ্গে ইতিমধ্যে ক
সামনেই বিধানসভা ভোট ত্রিপুরাতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত সেই রাজ্যকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, সে রাজ্যে বিজেপিকে কার্যত হারাতে মহাজোট তৈরির ইঙ্গিত তৃণমূলের। এই মর্মে বামেদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাবার্তাও শুরু হয়েছে।
তবে ২৩ এর ভোট হলেও যত দিন এগিয়ে ত্রিপুরাতে বারবার আক্রান্ত হতে হচ্ছে বিরোধীদের। গত কয়েকদিনে একাধিকবার তৃণমূলের উপর আঘাত এসেছে। এমনকি সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরও আঘাত এসেছে। ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার ত্রিপুরার মাটিতে আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
জানা গিয়েছে, আজ সোমবার মানিকবাবু তাঁর নিজের কেন্দ্র ধনপুরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। হঠাত করেই সেই সময় তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর কনভয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। একেবারে লাঠি, বাঁশ দিয়ে হামলা হয় বলে অভিযোগ।
আর হামলা হতেই প্রকাশ্যে রাস্তায়ম নেমে পড়েন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই সময়ে অন্যান্য বামকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তড়িঘড়ি মানিকবাবুকে স্থানীয় একটি নিরাপদ জায়গাতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
কিন্তু বাম কর্মীরাও পাল্টা তাঁদের তরফে প্রতিরোধ তৈরি করে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর ছোঁড়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। বামেদের দাবি, পরিকল্পনা করে মানিক সরকারের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি।
তাঁদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি বামেদের। তবে বামেদের দাবি সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাঁদের পাল্টা দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বিজেপি কর্মী যুক্ত নয়। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি বিজেপি।
স্থানীয় এক বিজেপি নেতার দাবি, ধনপুর মানিক সরকারের নির্বাচনী কেন্দ্র হলেও, তিনি সেখানে যান না, এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজও করেননি। তাই এলাকায় ঢুকতে না দিয়ে জনগণই পথ আটকেছে। তবে বামেদের তিরফে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথমবার নয়, একাধিকবার মানিক সরকারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বারবার তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন। আজও এই ঘটনার পর আহত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যান সে রাজ্যের প্রাক্তন প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী।
সে রাজ্যের রাজনৈতিকমহলের একাংশের দাবি, ভোট এগিয়ে আসতেই ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই অবস্থায় আগামিদিনে আরও রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা বারবে বলে মনে করছেন তাঁরা।