VIP-দের যাতায়াতের মাঝে উত্তরপ্রদেশে পাক-জঙ্গি মডিউলকে ধরা জটিল ছিল বললেন ATS প্রধান
VIP-দের যাতায়াতের মাঝে উত্তরপ্রদেশে পাক-জঙ্গি মডিউলকে ধরা জটিল ছিল বললেন ATS প্রধান
সম্প্রতি বড় সাফল্য পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড৷ পাকিস্তানে ট্রেনিং নেওয়া একটি জঙ্গি মডিউল উত্তরপ্রদেশে বড়সড় নাশকতা চালানোর আগেই গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ ATS, অনেকগুলি রাজ্যের সম্মিলিত অভিযানে ধরা পড়ার পরেছে এই সন্ত্রাসবাদী মডিউলটি৷ কতটা শক্ত ছিল এই অপারেশন? সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের প্রধান জি কে গোস্বামী৷
বুধবার গোস্বামী সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজ্যে ক্রমাগত ভিআইপি যাতায়াতের কারণে এই অপারেশন যথেষ্ট জটিল হয়ে গিয়েছিল৷ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং ইউপি এটিএসের যৌথভাবে অপারেশনে নামে৷ এবং একটি পাকিস্তানে ট্রেনড সন্ত্রাসী মডিউলের পরিকল্পনা ভেঙে দেয় এবং দু'জন পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। এই সন্ত্রাসীদের মধ্যে তিনজনকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ATS আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
একটি জাতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে ইউপি এটিএস -এর প্রধান জি কে গোস্বামী বলেন, এই অপারেশন যথেষ্ট জটিল ছিল৷ আপনি জানেন যে, উত্তরপ্রদেশ একটি বিশাল রাজ্য। রাজ্যে ক্রমাগত ভিআইপিদের যাতায়াত চলেছে। অযোধ্যার মতো জায়গাতে অনেক জঙ্গি হটস্পট রয়েছে। সব কিছু সামলে অপারেশন চালিয়ে যেতে হয়েছে।
6প্রসঙ্গত ২০২২ এ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন রয়েছে৷ যার ফলে রাজ্যে এখনও থেকেই ভেট প্রস্তুতি চলেছে৷ পাশাপাশি অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মান নিয়ে ভিআইপিদের যাতায়াত রয়েছে৷ সম্প্রতি আলিগড়ে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসের জন্য উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং ইউপি এটিএস প্রতাপগড়, রায়বেরেলি, লখনউ এবং প্রয়াগরাজ-এ একসঙ্গে অভিযান চালায়। ইউপি এটিএস প্রয়াগরাজ-এ একটি আইইডি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিল, কিন্তু যেহেতু জায়গাটি উত্তরপ্রদেশের একেবারে অপরিচিত একটি জায়গা তাই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বার করাটা, সমুদ্রে একটা জলের ফোঁটা খোঁজার মতো ছিল বলে জানিয়েছেন অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের প্রাথমিকভাবে জেরা করে জানা গিয়েছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি মডিউলটির মূল পরিকল্পনা ছিল উত্তরপ্রদেয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো, যার মধ্যে ছিল অযোধ্যার নির্মিয়মান রামমন্দিরও। সূত্রের খবর সন্ত্রাসবাদীরা তাদের পরিকল্পনার একেবারে প্রথম পর্যায়ে থাকা অবস্থায় সঠিক সময়ে ধরা পড়ে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরো জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানে যেসব সন্ত্রাসীরা প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিল, তাদের বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। যদি এই মডিউল কোনভাবে তাদের উদ্দেশ্যে সফল হত তাহলে বড়সড় প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল যোগীরাজ্যে।