
যোগী রাজ্য থেকে গ্রেফতার আট জঙ্গি, যোগসাজস জেএমবি'র সঙ্গে
উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড গ্রেফতার করল আট সন্দেহভাজন জঙ্গিকে, যাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের, অর্থাৎ জেএমবি'র

লুকমান ছাড়াও সাহারানপুরের কারি মুখতার, কামিল ও মোহাম্মদ আলিম, শামলির শাহজাদ, বাংলাদেশের আলি নুর ওরফে জাহাঙ্গির মণ্ডল ওরফে ইনামুল হক, ঝাড়খণ্ডের নওয়াজিশ আনসারি, হরিদ্বারের মুদাসিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য ব্যাবহার হওয়া জিহাদি বই, পেনড্রাইভ, মোবাইল সহ সমস্ত নানা সামগ্রী।
জানা গিয়েছে যে বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল ছিল কিছু জেএমবি জঙ্গি ঘাজা ই হিন্দ নামক এক সংস্থার বেশ কিছু উদ্দেশ্য সফল করতে চাইছে। এর আগে অগাস্টে উত্তরপ্রদেশ এটিএস গ্রেফতার করে সইফুল্লা নামে এক ব্যক্তিকে, যার সঙ্গে জইশ ই মহম্মদের যোগ রয়েছে। তাঁকে কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মহম্মদ নাদিম নামে এক সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ধরা হয়েছিল। জানা যায় জে এই সইফুল্লার আসল নাম হাবিব উল ইসলাম। সে নকল পরিচয়পত্র বানাতে সিদ্ধহস্ত। সে অন্তত এমন ৫০ জন জঙ্গির নকল পরিচয়পত্র জানিয়েছে। সে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের জঙ্গিদের এই কাজ করে দিত। সে টেলিগ্রাম ফেসবুক ব্যাবহার করে জিহাদ সংক্রান্ত নানা তথ্য পাঠাত বলেও জানা গিয়েছে।
জেএমবির লক্ষ্য শরিয়া আইনের ওপর ভিত্তি করে ইসলামী রাষ্ট্রের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা করা । তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পদ্ধতির বিরোধিতা করে এবং পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইসলামি মডেলের ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে চায়। সংগঠনটি আফগানিস্তানের তালিবানদের আদর্শ অনুসরণ করে। এর প্রধান উদ্ধৃত করেন যে "আমাদের মডেলের মধ্যে ইসলামের অনেক নেতা ও পণ্ডিত রয়েছে। কিন্তু আমরা প্রয়োজন হিসাবে তালিবান থেকে যথটাসম্ভব (মতাদর্শ) গ্রহণ করব। " শরিয়া বা ইসলামী আইনের লঙ্ঘন হিসাবে জেএমবি গণতন্ত্রকে বিরোধিতা করে।
এছাড়া তারা সমাজতন্ত্রের বিরোধিতা করে এবং বামপন্থী চরমপন্থীদের, বিশেষ করে পূর্বাঙ্গার বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (পিবিসিপি) এর প্রচণ্ড বিরোধী। রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়া জেএমবি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সিনেমা হল, মন্দির এবং এনজিও প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করে। তাদের একটি লিফলেটে বলা হয়েছে, "আমরা অ-ইসলামী আইন চাই না, আমরা চাই কুরআনের আইন চালু করা যাক। মানুষের দ্বারা সৃষ্ট আইনগুলো কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না। শুধুমাত্র আল্লাহর আইনই জয়ী হবে। "
বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত! তপশিলি কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি