আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ, হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পেল প্রথম দেশীয় করোনা ভ্যাকসিন
পুনের সংস্থা জিনোভার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা ভাইরাস রোধক ভ্য়াকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ জিনোভার তৈরি এই ভ্যাকসিনটির নাম ম্যাসেঞ্জার আরএনএ৷ কেন্দ্রীয় সরকারর একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানায়৷
জানা গিয়েছে, মেসাঞ্জার ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কারণ, এটি প্রকৃতিগতভাবে সংক্রমক নয় এবং স্ট্যান্ডার সেলুলার মেকানিজমের দ্বারা পরীক্ষিত৷ এমনই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে৷ আমেরিকার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারও এই ম্যাসেঞ্জার আরএনএ পদ্ধতি অনুসরণ করেছে৷
জানা গিয়েছে, প্রস্তুতিপর্বে থাকা অন্যান্য করোনা ভাইরাস রোধক ভ্যাকসিনের থেকে আলাদা এই ভ্য়াকসিন৷ বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, 'ম্যাসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনটি চিরাচরিত রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে না৷ পরিবর্তে মেসাঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনটি ভাইরাসটির একটি সিন্থেটিক আরএনএর মাধ্যমে শরীরে প্রোটিন তৈরি করার নির্দেশ বহন করে৷'
এদিকে জানা গিয়েছে জানুয়ারি থেকে ভারত বায়োটেকের করোনার দ্বিতীয় ভ্য়াকসিনের ট্রায়াল শুরু হবে৷ এই ভ্য়াকসিনটি নাকের ড্রপের মাধ্য়মে মানুষের শরীরে দেওয়া হবে৷ সংস্থার চেয়ারম্য়ান ডঃ কৃষ্ণা এলা একথা জানান৷ প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এই ইন্টারনজাল ভ্য়াকসিনের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী মাস থেকে৷ ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের সঙ্গে এই ভ্য়াকসিন তৈরির জন্য় লাইসেন্সিং চুক্তি করেছে ভারত বায়োটেক৷