২৪ ঘন্টায় রেকর্ড বৃষ্টি সিমলায়, বন্যা-ধ্বস্থ হিমাচল প্রদেশে নিহত অন্তত ১৮
ভারী বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। রাজ্য জুড়ে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষতি প্রচুর সম্পত্তির।
রবিবার দুপুর থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জায়গায় জায়গায় হড়পা বান। জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত গোটা রাজ্য, ইতিমধ্যেই বন্যা ও অতিবৃষ্টির বলি হয়েছেন অন্তত ১৮ জন। ধস নেমে ও তাব্র গতিতে বয়ে চলা পাহাড়ি ঝোড়ায় পথ আটকে বন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েকশ' মানুষ। বন্য়ায় ভেসে গিয়েছে কয়েক ডজন গাড়ি, ভেঙে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়িও।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে কিন্তু বৃষ্টিতে লাগাম লাগার কোনও সম্ভাবনা মেলেনি। বরং আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারি বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানা গিয়েছে । সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বন্য়া পরিস্থিতি নিয়ে এক উচ্চস্তরের বৈঠক করেন। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে চন্ডিগড়-সিমলা, চন্ডিগড়-মানালি, এবং চাম্বা-পাঠানকোট'এর মধ্যে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতি বৃষ্টি ও ধসে রাজ্যের মোট ৯২৩টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সিমলার ভূবিজ্ঞান বিভাগের অধিকর্তা মনমোহন সিং জানিয়েছেন লাহুল-স্পিতি উপত্যকা বাদ দিলে গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে প্রায় ৫০০ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েই এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু সিমলাতেই গত ২৪ ঘন্টায় ১৭২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ১১৭ বছরে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন সিং।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সোলানে। এখানকার চাকলা লামসার গ্রামে ভোর ৪টে নাগাদ ধসে চাপা পড়ে যায় একটি বাড়ি। মৃত্যু হয় ওই ২ শিশু-সহ পরিবারের ৪ জনেরই। সোলানেই আরেকটি শিশু ভেসে গিয়েছে এক ঝোড়ার জলের টানে। হামিরপুরে বিশাল এক কাদার চাঁইতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতনীর। মান্ডির ধরমপুর সাবডিভিশনে তাদুন ও কানসা গ্রাম থেকেও এসেছে মৃত্যু-সংবাদ।
এদিকে পান্ডো বাঁধে একটি গাড়ি পড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই গাড়িতে কটজন ছিলেন, তাদের কি অবস্থা - কিছুই জানা যায়নি। উনা জেলার সাম্বুওয়ালা বেরিয়ারের কাছে রাস্তায় ধস নেমে তীর্থযাত্রী বোঝাই একটি গাড়ি পড়ে যায় খাদে। ওই ঘটনাতেও মৃত্য়ু হয়েছে পাঞ্জাবের এক মহিলার।