অটল পেনশন যোজনা! প্রকল্পে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন-উত্তর একনজরে
প্রতিদিন যাঁদের কাজে না বেরোলে হয় না, এমন অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য ২০১৫-১৬- বাজেটে অটল পেনশন যোজনা চালু করেছিল মোদী সরকার। যেটি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
মানুষ আগের থেকে বেশি দিন বাঁচছে। কিন্তু বেশিদিন বাঁচলেই তো হবে না, বেঁচে থাকতে গেলে রসদও যোগাতে হবে। প্রতিদিন যাঁদের কাজে না বেরোলে হয় না, এমন অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য ২০১৫-১৬- বাজেটে অটল পেনশন যোজনা চালু করেছিল মোদী সরকার। যেটি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
৬০ বছর বয়সে পৌঁছলে মাসে এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার পেনশনের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে এই প্রকল্পে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে, নির্দিষ্টি ব্যক্তি কতবছর বয়সে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য নাম লেখাচ্ছেন এবং মাসে কত টাকা করে জমা দিতে পারছেন তার ওপর। প্রকল্পটি পেনশন ফান্ড রেগুলারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
অটল
পেনশন
প্রকল্পে
যোগদানের
বয়স
১৮-৪০
বছর
বয়স্ক
যে
কোন
ভারতবাসী
এই
প্রকল্পে
যোগ
দিতে
পারেন।
ন্যুনতম
কতদিন
টাকা
জমা
দিতে
হবে?
১৮-৪০
বছর
বয়স্ক
যে
কেউ
যেমন
এই
প্রকল্পে
যোগ
দিতে
পারবেন,
ঠিক
তেমনই
৬০
বছর
বয়স
থেকে
পেনশন
পেতে
শুরু
করবেন।
ফলে
অন্তত
২০
বছর
ধরে
এই
প্রকল্পের
জন্য
টাকা
জমা
দিতে
হবে
আবেদনকারীকে।
প্রকল্পের
জন্য
প্রয়োজন
এই
প্রকল্পের
জন্য
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্ট
থাকতে
হবে।
থাকতে
হবে
আধার
নম্বর।
নির্দিষ্ট
একটি
মোবাইল
নম্বরও
দিতে
হবে।
এই
প্রকল্পের
জন্য
আধার
কি
জরুরি?
এই
প্রকল্পের
জন্য
অ্যাকাউন্ট
খুলতে
গেলে
আধার
ম্যান্ডেটরি
নয়।
কিন্তু
পরিচয়ের
প্রাথমিক
প্রমাণ
হিসেবে
আধার
লাগবে।
স্ত্রী
কিংবা
স্বামী
মারা
গেলে
পেনশন
কে
পাবেন
তার
নিষ্পত্তির
জন্য
আধার
জরুরি।
ট্যাক্সের
সুবিধা
ইনকাম
ট্যাক্স
আইনের
৮০
সিসিডি
ধারায়
এই
প্রকল্পে
ছাড়
পাওয়া
যাবে।
নিশ্চিত
পেনশন
যাঁরা
এই
প্রকল্পের
অংশীদার
হবেন,
তাঁরা
এক
হাজার
থেকে
পাঁচ
হাজার
টাকা
নিশ্চিত
ভাবে
পাবেন।
আবেদনকারীর
মৃত্যু
হলে
অটল
পেনশন
যোজনায়
আবেদনকারীর
মৃত্যু
হলে,
ওই
আবেদনকারীর
স্বামী
কিংবা
স্ত্রী
পেনশন
পেতে
থাকবেন।
নমিনির
সুবিধা
যদি
এই
পেনশনের
জন্য
আবেদনকারী
এবং
তাঁর
স্বামী
কিংবা
স্ত্রীর
মৃত্যু
হয়,
তাহলে
তাঁর
নমিনিকে
৬০
বছর
বয়স
পর্যন্ত
আবেদনকারী
কিংবা
গ্রাহক
যে
টাকা
জমা
দিয়েছেন,
সেই
টাকা
ফেরত
পাবেন।
অনলাইনে
আবেদন
অটল
পেনশন
যোজনায়
অনলাইনেই
আবেদন
করা
যাবে।
এসবিআই,
এইচডিএফসি
এবং
আইসিআইসিআই-এর
মতো
ব্যাঙ্কগুলি
নেট
ব্যাঙ্কিং-এ
এই
সুবিধা
দিচ্ছে।
নির্দিষ্ট
ব্যাঙ্কের
ওয়েবসাইটে
ঢোকার
পর
নির্দেশিকা
অনুযায়ী
পরপর
কাজ
করতে
হবে।
ব্যাঙ্কের
শাখায়
আবেদন
এইসব
ব্যাঙ্কগুলিতে
যাঁদের
আগেই
অ্যাকাউন্ট
রয়েছে,
তাঁরা
সেইসব
শাখাতেই
এই
প্রকল্পের
জন্য
আবেদন
করতে
পারবেন।
ব্যাঙ্কের
গ্রাহক
নিজের
অ্যাকাউন্ট
নম্বর
দিলে,
ব্যাঙ্কের
কর্মীই
এই
প্রকল্পে
নাম
নথিভুক্ত
করতে
সাহায্য
করবেন।
সেই
গ্রাহক
তথা
আবেদনকারীকে
নির্দিষ্ট
তথ্য
সরবরাহ
করতে
হবে।
প্রকল্পে
অবদান
মাসিক,
ত্রৈমাসিক
কিংবা
ষান্মাসিক
ভিত্তিতে
এই
প্রকল্পের
জন্য
টাকা
জমা
দেওয়া
যাবে।
যা
সেভিংস
অ্যাকাউন্ট
থেকেই
জমা
দেওয়া
যাবে।
প্রকল্পে
নাম
নথিভুক্ত
করার
দিনই
প্রথমবারের
জন্য
টাকা
নেওয়া
হবে
অ্যাকাউন্ট
থেকে।
এরপর,
গ্রাহক
যেভাবে
প্রকল্পের
জন্য
টাকা
জমা
দেওয়ার
ব্যাপারে
ভাববেন,
সেইভাবেই
টাকা
নেওয়া
হবে
অ্যাকাউন্ট
থেকে।
সরকারের তরফে একবছরে গ্রাহক যে টাকা জমা দিচ্ছেন, তার ৫০ শতাংশ কিংবা হাজার টাকা, যেটা কম হবে, তা ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে। প্রথম পাঁচবছরের জন্য এই সুবিধা পাবেন গ্রাহক।
প্রকল্পে
টাকা
জমা
বন্ধ
করা
হলে
কী
হবে?
যদি
কোনও
গ্রাহক
ছয়
মাসের
ওপর
এই
প্রকল্পে
কোনও
টাকা
জমা
না
দেন,
তাহলে
তা
ফ্রোজেন
হয়ে
যাবে।
১২
মাস
হলে
অ্যাকাউন্টটি
ডিঅ্যাক্টিভেটেড
হয়ে
যাবে।
আর
২৪
মাস
হলে
নিজে
থেকেই
অ্যাকাউন্টটি
বন্ধ
হয়ে
যাবে।
জমা
দেওয়া
টাকার
পরিমাণ
কি
কমানো
কিংবা
বাড়ানো
যাবে?
অংশগ্রহণকারী
নিজের
জমা
দেওয়া
টাকার
পরিমাণ
কমাতে
কিংবা
বাড়াতে
পারবেন।
যদিও
বছরে
এই
সুবিধা
একবারই
পাওয়া
যাবে।
এপ্রিল
মাসে
মিলবে
এই
সুবিধা।
[আরও পড়ুন:রাহুলের চেয়ে ৪০০ ধাপ এগিয়ে মোদী, ২০১৯ লোকসভা ভোট নিয়ে সামনে এল আই-প্যাকের সমীক্ষা]
কটি
অ্যাকাউন্ট
খোলা
যাবে?
কোনও
ব্যক্তি
একটি
মাত্রই
অ্যাকাউন্ট
খুলতে
পারবেন।
কী
ভাবে
মিলবে
পেনশন
৬০
বছর
পূর্ণ
হওয়ার
পরে
গ্রাহককে
নিজের
আবেদন
জমা
করতে
হবে।
তাহলেই
নির্দিষ্ট
ব্যাঙ্কের
মাধ্যমে
পেনশন
পাওয়া
যাবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের সুরেই বঙ্গ বিজেপিকে বিঁধছেন কেন্দ্রীয় নেতারা! হঠাৎ কেন মোহভঙ্গের সুর ]
৬০
বছরের
আগেই
কি
এই
প্রকল্প
থেকে
বেরনো
যাবে?
ব্যতিক্রমী
পরিস্থিতি,
যেমন,
আবেদনকারীর
মৃত্যু
কিংবা
প্রান্তিক
রোগে
আক্রান্ত
হলে
এই
প্রকল্প
থেকে
বেরনো
যাবে।