একেবারে শুরুতে মাত্র ১৩দিনের সরকার গড়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী
১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচন ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। সেই প্রথমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সবচেয়ে বেশি আসন জেতে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রথমবার সরকার গড়ার ডাক দিয়ে সবচেয়ে বড় দলের নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী।

এই প্রথম ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হন কোনও বিজেপি নেতা। রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মার কাছে গিয়ে সরকার গড়ার ডাক দেন বাজপেয়ী। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথও নেন। তিনি হন ভারতের দশম প্রধানমন্ত্রী।
তবে শপথগ্রহণের মাত্র ১৩দিনের মধ্যে বাজপেয়ীর সরকার পড়ে যায়। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি। ভোটে ১৬১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪০টি আসন। জনতা দলের ফ্রন্ট ৭৯টি ও বামেরা সেবার ৫২টি আসন পেয়েছিল।
[আরও পড়ুন: Info Graphics-এর মাধ্যমে অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবন ও রাজনৈতিক জীবনকে ফিরে দেখা]
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে বাকী দলগুলির সহযোগিতা না পাওয়ায় লোকসভায় বিদায়ী ভাষণ দিয়ে বাজপেয়ী রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বাজপেয়ী তাঁর আগে লোকসভায় ভাষণ দেন। স্পষ্ট বলেন, সারা দেশে বিজেপি রয়েছে। দলিত ও পিছিয়ে পড়া প্রতিনিধিরাও সবচেয়ে বেশি বিজেপির হয়ে জিতে এসেছে। ফলে বিজেপিকে বাদ দিয়ে সরকার চালানো সহজ হবে না।
[আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ধ্বংস কাণ্ডে বাজপেয়ীর ভূমিকা কী ছিল, পরে তিনি কী বলেছিলেন ]
বাজপেয়ীর সেই ভাষণেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আগামিদিনে বিজেপিকে রোখা কঠিন হবে। তিনি বলেওছিলেন, ফিরে গিয়ে তিনি সংগ্রামী জারি রাখবেন। যতদিন না ফের ক্ষমতায় ফিরে দেশের শাসনভার নিজের হাতে তুলে না নিচ্ছেন, ততদিন লড়াই জারি থাকবে। সেদিন না এলেও ভবিষ্যতে বিরোধীদের একটি অংশকে যে বিজেপির সঙ্গে আসতে হবে সেটাও বাজপেয়ী স্পষ্ট করে দেন। আর হয়েওছিল তাই। ১৩ দিনের পর কেন্দ্রে ১৩ মাসের সরকার গড়েন বাজপেয়ী। পরে পূর্ণ পাঁচ বছর সরকারে থেকে অ-কংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নতুন রেকর্ড গড়েন।