নেপালে বিধ্বংসী বন্যায় মৃত ৪৩, বিহারে ৬ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রবল বর্ষণে বিধ্বংসী বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নেপালে। গত এক সপ্তাহ ধরে নাগাড়ে বর্ষণে নেপালের সব নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
প্রবল বর্ষণে বিধ্বংসী বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নেপালে। গত এক সপ্তাহ ধরে নাগাড়ে বর্ষণে নেপালের সব নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পাড় ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে একাধিক নদীর জল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের ললিতপুর, খোটাং, ভোজপুর, কাভরে, মকওয়ানপুর, সিন্ধুলি এবং ধাদিং। এই এলাকারই অধিকাংশ বাসিন্দার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
৪৩ জনের মৃত্যু
এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিেয়ছে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আশার কথা শোনা যায়নি। বর্ষণ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিহারের একাংশ
নেপালের বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বিহারের একাংশ। বিহারের একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। কোশি, গণ্ডক, বুধি, গঙ্গা, ভাগমতি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা টিম তৈরি
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুপুল , মুজফফরপুর, পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, আরারিয়া, কৃষ্ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
জোর সতর্কতা বিহারে
বিহারের সব সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পরিস্থিতি উপর কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। নদীগুলির জলস্তর এবং জলাধারগুলির জলস্তরের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। জলাধার সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।