'সন্ত্রাসকে যারা প্রশ্রয় দিচ্ছে' সেদেশকে ছেড়ে কথা না বলার বার্তা! ব্রিকসে পাক-চিনকে টার্গেট মোদীর
১২ তম ব্রিকস সামিটে এদিন বহু প্রতীক্ষিত বক্তব্য রাখতে শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। লাদাখ সংঘাতের আবহে এই সামিটে মুখোমুখি হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। আর সেখানেই এদিন বক্তব্যের শুরুতেই চিনের সব মরশুমের বন্ধু পাকিস্তানকে টার্গেটে রেখে বার্তা দেন মোদী।

লাদাখ সংঘাতের আবহে দ্বিতীয়বার মোদী জিনপিং বৈঠক
রাশিয়ার আয়োজিত এই সামিটে এই দিনে ১০ দিনে দ্বিতীয় বার চিন ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখী বাণিজ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য , পারস্পরিক আদান প্রদান নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে। যেখানে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে,সেখানে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে যে এই বৈঠকে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত ছিল। এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই সন্ত্রাস প্রসঙ্গ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন মোদী।

মোদীর বক্তব্য
'ব্রিকস দেশগুলির মূল থিম হল বিশ্ব স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা বিষয়ক সমঝোতা, উন্নয়নে এগিয়ে গিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকানো'। এই বক্তব্য দিয়ে শুরু করেই মোদী বলেন বর্তমানে বিশ্ব একাধিক জিও স্ট্র্যাটেজিক পরিবর্তন দেখছে, যা বিশ্বস্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলবে। প্রভাব পড়বে উন্নয়ন ও নিরাপত্তার ওপরেও।

বিশ্ব প্রতিষ্ঠান মোদীর বার্তায়
এদিন মোদী বলেন, বিশ্বের একাধিক প্রতিষ্ঠান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়নি। এক্ষেত্রে আইএমএফ, ডাব্লিউটিও, হু,এর মধ্যে সংস্কার জরুরি বলে বার্তা দেন তিনি। যার ফলে তারা কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এদিন তিনি এই সূত্রে রাষ্ট্রসংঘের ৭৫ বছরের পূর্তির প্রসঙ্গ তোলেন। মোদী জানান, ভারত বহুতত্ত্ববাদের বিশ্বাসী। বিশ্বকে পরিবার বলে মনে করে। রাষ্ট্রসংঘের মূল্যবোধের প্রতি ভারত চিরকালই দায়বদ্ধ থাকবে।

পাকিস্তানকে জোরালো তোপ
ব্রিকসের মঞ্চে চিনের সঙ্গী দেশ পাকিস্তানকে তোপ দেগে, তাদের নাম না করে মোদী বলেন, 'সন্ত্রাসই হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা। যে দেশ এই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়, তাদের তার জবাব দিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।' কার্যত এদিন তিনি পাকিস্তানকে ছেড়ে কথা না বলার বার্তা দিয়েছেন।

পুতিনের মন্তব্য
এদিকে মোদী যখন সন্ত্রাস নিয়ে বিশ্বকে পরিবার হিসাবে তুলে ধরে বার্তা রাখলেন, তারপরই ব্রিকসের মঞ্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে ওঠেন, 'পরিবারে সবসময় একটি কালো ভেড়া থেকে যায়।' প্রসঙ্গত, এই 'কালো ভেড়া' এক ইংরেজি প্রবাদের অংশ। যার দ্বারা পুতিন কূটনৈতিক চালে বুঝিয়ে দেন যে পরিবারে একজন নেগেটিভ শক্তি হিসাবে কিছু না কিছুভাবে থেকেই যায়।
নীতীশকে স্বরাষ্ট্র দিয়ে অর্থ নিজের হাতে রাখল বিজেপি, জেডিউকে কোণঠাসা করছে গেরুয়া শিবির
{quiz_428}