ডেল্টার বিরুদ্ধে মানবদেহে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, দাবি সংস্থার
করোনার
ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্টের
পাশাপাশি
বর্তমানে
গোটা
দেশে
নতুন
করে
উদ্বেগ
বাড়াতে
শুরু
করেছে
ডেল্টা
প্লাস
স্ট্রেন।
এমনকী
এই
নয়া
স্ট্রেনের
প্রকোপে
ভ্যাকসিনের
কার্যকারিত
নিয়েও
উঠে
গিয়েছে
প্রশ্ন।
ডেল্টা
প্লাস
বা
AY.1
স্ট্রেনই
এখন
সবথেকে
বড়
মাথাব্যাথার
কারণ
স্বাস্থ্য
মন্ত্রকের।
কিন্তু
এই
উদ্বেগের
মাঝেও
নতুন
করে
আশার
কথা
শোনাচ্ছে
অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানবদেহে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অক্সফোর্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যার ভারতে নাম কোভিশিল্ড। যা দেশের মাটিতে তৈরির বরাত পেয়েছে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইণ্ডিয়া। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতের আট রাজ্যে ৪০ জনের বেশি ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
সংস্থার দাবি তাদের টিকার দুটি ডোজ নিলেই শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না ডেল্টা স্ট্রেন। তারপরেও যদি সংক্রমণ ঘটায় তা মৃত্যুর কারণ একদমই হবে না। হাসাপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তারা। এই ভ্যাকসিনটিই করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্টকেও বাগে আনতে রীতিমতো সক্ষম বলে দাবি করেছে তারা।
আলফার বিরুদ্ধে ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষাকবচ দিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। উল্লেখ্যযোগ্যা ভাবে কমেছে ঝুঁকিপূর্ণ রোগী এমনকী হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। কমেছে মৃত্যুহারও। তবে ডেল্টার ক্ষেত্রে ১৪ হাজার ১৯ রোগীর উপর গবেষণা চালিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ১২ এপ্রিল থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চলে এই সমীক্ষা। তারমধ্যে ১২২ জন আবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেল। মারা গিয়েছেন ৩ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ।