For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

সাত দশকের ইতিহাস উল্টে পাঞ্জাবের মসনদে আপ, দেখে নিন পাঁচটি বড় কারণ

সাত দশকের ইতিহাস উল্টে পাঞ্জাবের মসনদে আপ, দেখে নিন পাঁচটি বড় কারণ

Google Oneindia Bengali News

দিল্লির পর এবার আম আদমি পার্টির ঝাড়ুতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল পাঞ্জাবের শাসক দল কংগ্রেস। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সত্যি প্রমাণিত হয়ে গেল বৃহস্পতিবার সকালেই। এই জয়ের মাধ্যমে বিরোধীদের তীক্ষ্ণ জবাব দিলেন আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ ম্যাজিকে ধরাশয়ী পাঞ্জাবের কংগ্রেস থেকে শিরোমণি অকিল সব রাজনৈতিক দল। গত সাত দশক ধরে পাঞ্জাবের রাজনৈতিক রণভূমির মাটি আকড়ে ছিল কংগ্রেস ও শিরোমণি অকালি দল (‌স্যাড)‌। কিন্তু ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই ইতিহাস বদলে দিল। পাঞ্জাবে আপের উত্থানের পেছনে রয়েছে পাঁচটি বড় কারণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ঐতিহাসিক জয়ের পেছনে কারণ কি রয়েছে।

পাঞ্জাবে পরিবর্তনের হাহাকার

পাঞ্জাবে পরিবর্তনের হাহাকার

পাঞ্জাবে ক্ষমতা চিরাচরিতভাবে পরিবর্তিত হয়েছে শিরোমণি অকালি দল (‌স্যাড)‌ ও কংগ্রেসের মধ্যে। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ পর্যন্ত স্যাড গত ২৪ বছর ধরে বিজেপির হাত ধরে ছিল অন্যদিকে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস পাঞ্জাব শাসন করেছে। এই দুই দলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত ছিল পাঞ্জাব। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সরকারের নানা সিদ্ধান্তে বিরোধীতার ক্ষেত্রে অকালিরা খুব একটা দৃঢ় ছিল না। মানুষের মনে ধারণা হয় যে, কংগ্রেস ও শিরোমণি অকালি দল এই দুই দলই একই মুদ্রার দুটি দিক মাত্রা। সেই সময় পাঞ্জাববাসী, বিশেষ করে মালওয়ারা পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। মূলতঃ রাজ্যজুড়ে যে বার্তাটি শোনা যাচ্ছিল তা হল ভোটাররা গত ৭০ বছর ধরে দু'‌টি বড় দলকে শাসন করতে দেখেছে, কিন্তু তার কোনও ভালো ফল পাওয়া যায়নি। তাই এখন অন্য দলকে সুযোগ দেওয়া হোক। হয়ত পাঞ্জাববাসীর দেওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে আম আদমি পার্টি। এ বছরের নির্বাচনে আপের স্লোগান, '‌এ বার আমরা বোকা হব না, ভগবন্ত মান এবং কেজরিওয়ালকে সুযোগ দেব।'‌ পাঞ্জাববাসী নিরাশ হয়ে ছিলেন তাঁদের স্থিতিশীলতা ও পতনশীল আয়ের মাত্রা নিয়ে তাই আপকে সাদরে গ্রহণ করতে খুব একটা সময় নেয়নি পাঞ্জাব।

 দিল্লি মডেল

দিল্লি মডেল

আপ সুপ্রিমো ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর দিল্লি সরকারের চার স্তম্ভের মডেল দিয়ে পাঞ্জাবের মন জয় করতে শুরু করেন। এই চারটে স্তম্ভ হল সরকারি শিক্ষার মান, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও জল দেওয়া হবে সস্তায়। জিতলে পাঞ্জাবেও দিল্লি মডেলের আঁচ মিলবে বলে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। মানুষ তাঁর এই প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রেখেছেন।

 যুব ও মহিলা

যুব ও মহিলা

পাঞ্জাবের যুব ও মহিলাদের থেকে ভালো সমর্থন পেয়েছে আপ, যাঁরা চেয়েছিলেন নতুন দলকে এবং আম আদমিকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলবেন, রাজ্যে স্থানীয়স্তরে প্রশাসনের সূচনা, '‌ব্যবস্থা পরিবর্তন'‌ করতে আগ্রহী তরুণদের সুযোগ দেওয়া এবং নতুন এক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা যা শিক্ষা ও বেকারত্বের শূণ্যস্থানকে পূরণ করবে। একইভাবে আপ এও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক মাসে রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে হাজার টাকা করে জমা করবে। অনেকেই তখন এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কারণ এটা খুবই জনপ্রিয় একটি প্রতিশ্রিতি যা বারংবার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল অরবিন্দ কেজরিওয়াল মহিলাদের পৃথক ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে গণ্য করেছিলেন এবং শুধুমাত্র তাঁদের বাবা বা স্বামীর প্ররোচনায় নয়, নারীরাও যে পিতৃতান্ত্রিক দেশে আলাদা চিন্তাভাবনা রাখতে পারে কেজরিওয়াল সেই আবেগে আঘাত করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভগবন্ত মান

মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভগবন্ত মান

আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভগবন্ত মানের নাম ঘোষণার মাধ্যমে বিরোধীদের দেওয়া বহিরাগত তকমা নস্যাৎ হয়ে যায়। জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভগবন্ত মান তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক কৌতুকের মাধ্যমে বহু পাঞ্জাবীর মন জয় করে ফেলেছেন। মানের ভাবমূর্তিও চিত্তাকর্ষক, পরিস্কার এবং তিনি পাঞ্জাব ভূমির ছেলে। প্রথাগত রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ভগবন্ত মানের পার্থক্য এখানেই। প্রচারে মান বারে বারেই বলেছিলেন যে, তিনি কীভাবে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং নির্বাচনের ফলে তার জমানো অর্থ কমছে।

 কৃষক আন্দোলন ও মালওয়া

কৃষক আন্দোলন ও মালওয়া

এক বছরের বেশি সময় ধরে কৃষকদের কেন্দ্রের নতুন তিন কৃষি আইনের বিপক্ষে আন্দোলন পাঞ্জাবে আপের জায়গা আরও পাকাপোক্ত করে। প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের। কৃষকদের চাপের মুখে গত ৩ নভেম্বর এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাদ্য হয় মোদী সরকার। সেই আন্দোলনের প্রভাব এবার পাঞ্জাবের ভোটেও লক্ষ্য করা গেল। এই কৃষক আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি ছিল ভারত কিষাণ ইউনিয়ন (উগরাহন)। এই সংগঠনের সভাপতি যোগিন্দর সিং উগরাহন। মূলত এই সংগঠনের বেশিরভাগ সভ্য ও সমর্থকই মালওয়া অঞ্চলে বসবাসকারী। এরাই রাজ্যের ৬৯টি আসনের নির্ণায়ক শক্তি। এই সংগঠনের নেতারা মানুষের মনে এই প্রশ্নের উদ্রেক করতে পেরেছিল যে, কেন বদলের পক্ষে ভোট দেব না? সাত দশক পরও কেন নেতারা গলি ও ড্রেনের বাইরে দেখতে পায়নি?‌ আপ সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে মনে করেছে মালওয়ারা। তাই আপকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, আপ কৃষকদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে সোচ্চারও হয়েছিলেন। আর এখন আপের কাছে এইসব প্রশ্নেরও উত্তর আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

গোয়া নির্বাচন ২০২২ঃ গোয়ায় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে বিজেপিগোয়া নির্বাচন ২০২২ঃ গোয়ায় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে বিজেপি

English summary
After seven decades, find out the top five reasons for AAP victory in Punjab
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X