ছয় রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন! বিজেপি ও NDA জোটের কাছে লিটমাস টেস্ট
ছয় রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন! বিজেপি ও NDA জোটের কাছে লিটমাস টেস্ট
নভেম্বর ও ডিসেম্বর বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের। তবে দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের আগে ছয় রাজ্যের সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন বিজেপির কাছে যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের বলেই মনে করছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকদের একাংশ।
লোকসভায় আসন বাড়লেও সরেছে শরিকরা
১৯৮৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি লোকসভায় ২ আসন পেয়েছিল। তারপর থেকে লোকসভায় বিজেপির আসন বেড়েছে। এই মূহুর্তে তা ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর এনডিএ সরকারে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বিজেপিকে ক্ষমতা ভাগ করে নিতে গিয়েছে। সেই তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক তৃণমূল কিংবা নীতীশ কুমারের জেডিইউ। সেখান থেকে আস্তে আস্তে বিজেপির সঙ্গে থাকা আঞ্চলিক দলের সংখ্যা কমেছে। ২০১৪-তে মোদীর প্রথম সরকারে থাকে শিরোমনি অকালিও দলও বিজেপির পাশ থেকে সরে গিয়েছে।
বিবাদ বেড়েছে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে
গত শতাব্দীর আটের ও নয়ের দশকে সারা দেশে একের পর এক আঞ্চলিক দল গড়ে উঠেছে। রাজ্যের রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখলের আগে সেই সব আঞ্চলিক দলগুলি মূলত উঠে এসেছিল কংগ্রেস বিরোধিতা করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তামিলনাড়ু এডিএমকে এবং ডিএমকে, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি, পঞ্জাবের শিরোমনি অকালি দল, বিহারের জেডিইউ, ওড়িশার বিজু জনতা দল। বিজেপি একটা সময় কংগ্রেসের বিরোধিয়া রাজ্যগুলিতে এইসব দলের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে নিয়েছে। কিন্তু বিজেপি যখনই সেইসব রাজ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে, সেই সময় বিরোধ তৈরি হয়েছে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে। ফলে বিজেপিতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করা আঞ্চলিক দলগুলি একটা সময়ে এনডিএ জোট ছেড়েছে।
পুরনো সহযোগীগের মুখোমুখি লড়াইয়ে বিজেপি
সামনেই ছটি রাজ্যের সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে বিজেপি তাঁর পুরনো সহযোগী দলগুলির মুখোমুখি হয়ে লড়াই করছে। এর মধ্যে বিহারের গোপালগঞ্জ এবং মোকামার বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে জেডিইউ এবং আরজেডির (এর মধ্যে আরজেডি কোনও সময়ই বিজেপির সঙ্গে ছিল না) সঙ্গে। গোপালগঞ্জে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর জেরে ওই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। ওড়িশায় বিজেপি লড়াই করছে বিজেডির বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি আসন ছেড়েছে পুরনো সঙ্গী শিবসেনাকে। অন্যদিকে তেলেঙ্গানায় বিজেপির সঙ্গে আলোচনার পরে টিডিপি তাদের প্রার্থী প্রত্যাগার করে নিয়েছে। অভিক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকলেও, বর্তমানে দুই আঞ্চলিক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির চাপে পিছনে চলে গিয়েছে।
ফলাফল বিজেপি কাছে চ্যালেঞ্জের
তবে অনেকেই বলছেন এই উপনির্বাচনের ফলাফল বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের। কেননা, দুই রাজ্যে দুই আঞ্চলিক দলের চাপের পরেও টিডিপি বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে এই মুহূর্তে। এই উপনির্বাচনের ফলাফল থেকেই উঠে আসতে পারে, ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিজেপি কি জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামবে, নাকি তারা একা লড়াই করবে।
হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন ২০২২: বিজেপি জয়ের 'প্রথা' পরিবর্তন করবে! দাবি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের