অসমের সরকারি হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে থুতু ফেলছে করোনা সন্দেহে রোগীরা
ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হয়েছে যে পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন থাকতে ও যেখানে সেখানে থুতু না ফেলতে। কিন্তু তাও সচেতনতার অভাব রয়েছে মানুষের মধ্যে। অসমের গোলাঘাট জেলার প্রশাসন জানিয়েছে যে জেলার সরকারি হাসপাতালে যারা কোয়ারান্টাইনে রয়েছে তারা কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডের আশে পাশে থুতু ফেলছে। এমনকি জানলা দিয়ে রাস্তাতেও থুতু ফেলছে তারা।
হাসপাতালে থুতু ফেলছে করোনা আক্রান্ত রোগীরা
এই ঘটনাটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হাসপাতাল পরিদর্শনের আগে হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অসমের আট জন। তাঁদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যায়। এই আটজনের সংস্পর্শে আসা ৪২ জন মানুষ কোয়ারান্টাইন সুবিধায় রয়েছে হাসপাতালে। গোলাঘাটের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জানা গিয়েছে, ওই রোগীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরও থুতু ছেটানোর চেষ্টা করে। এরপর কর্তৃপক্ষ কর্মীদের হাসপাতাল ভবনের পেছন দিক দিয়ে উঠিয়ে কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডের জানলাগুলি বন্ধ করে দেয়।
নিজামুদ্দিনে যাওয়া রোগীদের জোর করে হাসপাতালে ভর্তি
তাবলিঘি জামাতে গিয়েছিলেন এমন আরও চারজনের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জন। অসমের সব রোগীরা নয়ত নিজামুদ্দিন মরকজে ছিল আর নয়ত বা তারা তাবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গোলাঘাটের বহু রোগী যারা কোয়ারান্টাইনে আছে তারা ভাবছে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা তাদের জোর করে এখানে এনেছি। তারা সব জায়গায় থুতু ফেলছে। তাদের বয়ঃজৈষ্ঠ্যরা ফোন করে তাদের থুতু ফেলতে নিষেধ করছে কারণ এর থেকে রোগ ছড়াতে পারে।' শর্মা বলেন, ‘তারা জানলা দিয়ে থুতু ফেলায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। রোগীদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং সমাজেরও উচিত নয় রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা।'
করোনায় মৃত্যু ৬২ জনের
দেশে ইতিধ্যেই করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের, শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৮ জন ও মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৫৪৭ জন।