১৫ রকম সরকারি কাগজ দিয়েও নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারলেন না অসমের মহিলা
১৫ রকম কাগজ দিয়েও নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারলেন না অসমের মহিলা
নাগরিকত্ব প্রমাণে ১৫ রকম সরকারি কাগজ দিয়েছিলেন অসমের বাসিন্দা জবেদা বেগম (৫০)। কোনও কাগজই প্রমাণ করতে পারল না তিনি ভারতের নাগরিক। গুয়াহাটি হাইকোর্টে জানিয়েছে তাঁর দেওয়া কোনও কাগজই নাগরিকত্ব প্রমাণের পক্ষে যথেষ্ট নয়। এখন সুপ্রিম কোর্টের ভরসায় রয়েছেন জাবেদা বেগম।
নাগরিকত্ব সংকটে জাবেদা বেগম
অসমের প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন জাবেদা বেগম(৫০)। গুয়াহাটি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বক্সা জেলায় তাঁর বাস। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য তিনি। স্বামী রেজ্জাক আলি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে একজন মারা গিয়েছে দুর্ঘটনায়। দ্বিতীয়জন নিখোঁজ । আর তৃতীয় কনিষ্ঠ সন্তান (আসিমা) পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।নাগরিকত্ব প্রমাণের মামলা লড়তে গিয়ে সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁর।
গুয়াহাটি হাইকোর্টে খারিজ আবেদন
নাগরিকত্ব
প্রমাণের
জন্য
গুয়াহাটি
হাইকোর্টে
১৫
রকমের
কাগজ
জমা
দিয়েছিলেন
তিনি।
কিন্তু
কোনও
কাগজই
নাগরিকত্ব
প্রমাণের
জন্য
যথেষ্ট
নয়
বলে
জানিয়ে
দিয়েছেন
গুয়াহাটি
হাইকোর্টের
বিচারপতি।
হাইকোর্ট
জানিয়েছে,
জমির
কর
জমা
দেওয়ার
রশিদ,
ব্যাঙ্কের
অ্যাকাউন্ট
নম্বর,
প্যান
কার্ড
নাগরিকত্ব
প্রমাণের
জন্য
যথেষ্ট
নয়।
বিচারপতি
মনোজিত
ভুঁইঞা
এবং
বিচারপতি
পৃথ্বীজ্যোতি
সাইকিয়া
জানিয়েছেন
জাবেদা
বিবি
তাঁর
মা-বাবার
সঙ্গে
সম্পর্কের
প্রমাণ
দেখাতে
পারেননি।
নাগরিকত্ব প্রমাণে কী কী কাগজ জরুরি
নাগরিকত্ব প্রমাণে ১৪ রকম কাগজ জমা দিতে হবে। জন্মের শংসাপত্র, জমির কাগড, বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক ইন্সিওরেন্স পলিসি, পোস্ট অফিসের কাগজ, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত সচিবের কাগজ, ভোটার তালিকায় নাম, রেশন কার্ড এছাড়া আইনি কাগজ। এই কাগজগুলির প্রত্যেকটিই ১৯৭১ সালের ১৪ মার্চের আগে হতে হবে। এগুলি না থাকলে পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রমাণের কাগজ জমা িদতে হবে। যেটা দিতে পারেননি জাবেদা বিবি।