নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় অসমের ছাত্রছাত্রী, বিশিষ্ট জনেরা
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
প্রত্যাহারে
দাবিতে
অসমের
মানুষের
বিক্ষোভ
এবার
সর্বাত্মক
চেহারা
নিল।
রক্ত
দিয়ে
স্লোগান
লেখা
থেকে
শুরু
করে
নগ্ন
প্রতিবাদে
উত্তাল
হয়
অসমের
রাজপথ।
এদিন
এই
বিল
বিরোধী
বিভিন্ন
প্ল্যাকার্ড
হাতে
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
প্রত্যাহারের
দাবিতে
শ্লোগান
দিতে
দেখা
যায়
বিক্ষোভকারীদের।
প্ল্যাকার্ড
গুলিতে
লেখা
শ্লোগানে
প্রতিবাদের
মূল
সুরই
ছিল
স্থায়ীভাবে
এই
সিটিজেনশিপ
অ্যামেন্ডমেন্ট
বিলের
প্রত্যাহার।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলগুলির পরে এখন শিক্ষার্থী, প্রবীণ নাগরিক, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বুদ্ধিজীবী, সহ একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তি প্রতিবাদে সামিল হন। শুক্রবার, বিখ্যাত কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক হীরক জ্যোতি বোরা বলেছেন, ছাত্ররা বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ছাত্রছাত্রীদের তরফে এদিন একটি বিক্ষোভ মিছিলেরও আয়োজন করা হয়। কটন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীছাত্রীদেরও এতে যোগদান করে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবীন গর্গ বলেন, “এই বিলটি অসমীয়া সংস্কৃতিকে যে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আমাদের সুপ্রিম কোর্টেও যেতে হতে পারে।”
এর আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও রাজ্যসভায় জোরদার সওয়াল করতে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সী শরণার্থীরা,যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে এই বিলের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে এই বছরের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ লোকসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল, ২০১৬। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের যে সমস্ত মানুষেরা ভারতে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যেই মূলত এই বিলটি পাস করানো হয়।
এদিকে কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই বিধায়ককে নাগরিকত্বের বিলের সমর্থনে পোস্টার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। নুমল মমিন এবং মৃণাল সাইকিয়াকে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমর্থনে বলতে দেখা যায় ভারত হিন্দু ও শিখদের প্রকৃত আবাসস্থল।