
আল কায়দা যোগের অভিযোগ! অসমে গুড়িয়ে দেওয়া হল আরও এক মাদ্রাসা
Assam News: আসামের বাঙ্গাইগাঁওয়ে আরও একটি অবৈধ মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। মঙ্গলবার রাতে ওই মাদ্রাসার উপর বুলডোজার চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। ওই মাদ্রাসায় দুশোরও বেশি বাচ্ছা পড়াশুনা করত। কিন্তু মাঝ রাতেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরো মাদ্রাসা খালি করেই ভাঙা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই মাদ্রাসাটি নিয়ম অনুযায়ী বানানো হয়নি। আর সেই কারণে ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানা জানিয়েছেন ওই সরকারি আধিকারিক।

বিশাল পুলিশ মোতায়েন
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, এই মাদ্রাসার লিঙ্ক হাফিজুর রহমানের সঙ্গে রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। AQIS এবং আনসার উল বাংলা দলের সদস্য হওয়ার জন্য গত কয়েকদিন আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে আসাম পুলিশ। জানা যায়, ওই মাদ্রাসাতে পড়ানোর কাজ করাতেন হাজিজুর। তাঁকে জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পান আধিকারিকরা। আর এরপরেই এহেন পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে তাকিয়ে পুলিশ পিকেটিং করতেও বলা হয়েছে।

আরও দুটি মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
ভূমিকম্প সিসমিক জোন ৫-এ থাকায় যে কোনো সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই মাদ্রাসাটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়। এই নিয়ে অসমে তৃতীয় নম্বর মাদ্রাসা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল। অবৈধ ভাবে নির্মান করা হয়েছে। এই অজুহাতে মাদ্রাসাগুলিকে গুড়িয়ে দিয়েছে অসম সরকার। এর আগে মনিকা ও গোয়ালপাড়ায় দুটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপের বেশ যোগ পাওয়ার পরেই ওই মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা মাদ্রাসার সঙ্গে কোনো অসামাজিক কাজকর্ম হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি পুলিশের তরফে। এমনকি সরকারি ভাবেও কিছু জানানো হয়নি।

সন্ত্রাসের মডিউল ফাঁস
এই মাসের শুরুতেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশ ভারতের মাটিতে আল-কায়েদা এবং বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বেশ কয়েকটি মডিউল ধ্বংস করেছে। এই সমস্য মডিউল রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই কাজ করত বলেও দাবি। শুধু তাই নয়, কিছু মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে চরমপন্থী সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একের পর এক মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সে রাজ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে একেবারে কড়া অবস্থান নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।