শাহ ‘দাওয়াইয়ে’ কাজ, সীমাম্ত সমস্যা মেটাতে যৌথ বিবৃতি অসম-মিজোরামের! কি চাইছে দুই রাজ্য
শাহ ‘দাওয়াইয়ে’ কাজ, সীমাম্ত সমস্যা মেটাতে যৌথ বিবৃতি অসম-মিজোরামের! কি চাইছে দুই রাজ্য
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের অন্যতম প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অসম-মিজোরামের সীমান্ত বিবাদ।এমনকী সমস্যা এতটাই বাড়তে থাকে যে একপ্রকার বাধ্য হয়েই হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল খোদ কেন্দ্র সরকার। এদিকে পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে গেলে সমস্যা মেটাতে অবশেষে উদ্যোগী হতে দেখা যায় দুই রাজ্য প্রশাসনকেই। শান্তিপূর্ণভাবে কী করে দীর্ঘদিনের এই বিবাদ মেটানো যায় তা নিয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন অসম এবং মিজোরামের মন্ত্রীরা।
মিজোরামের রাজধানী আইজলে বসে বৈঠক
মিজোরামের রাজধানী আইজলে বসে এই বৈঠক। যা নিয়ে শুরু থেকেই চড়ছিল উত্তেজনার পারদ। যদিও শান্তিপূর্ণ ভাবেই গোটা বৈঠক প্রক্রিয়া মিটেছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই বৈঠকের পরেই সামনে এল যৌথ বিবৃতি। আর তাতেই আন্তঃরাজ্য সীমান্তে শান্তি ফেরাতে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করল অসম- মিজোরাম। ই বিবৃতিতে দুপক্ষেরই স্বাক্ষর রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
অমিত দাওয়াইয়েই কাজ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর থেকেই ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে বরফ। এমনকী সুর নরম করেন দুই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারাও। এমনকী অসমের মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মিজোরামের তরফে কেস করা হলেও পরবর্তীতে তা তুলেও নেওয়া হয়। সুর নরম করেন দুই মুখ্যমন্ত্রীই।
কেন্দ্রের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় দুই রাজ্যই
এদিকে সদ্য প্রকাশিত বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষাতেই লেখা হয়েছে আন্তঃরাজ্য বিবাদ ও সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে কেন্দ্রের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় দুই রাজ্যই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে তাও মানছে দুই রাজ্য। আলোচনার মাধ্যমেই নেওয়া হবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। এদিকে গত ২৬ জুলাই এই বিবাদ চরমে ওঠে বলে জানা যায়। এদিকে সংঘর্ষের জেরে দুই রাজ্যের মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ছিলেন অসমের ৬ পুলিশ। আর তা নিয়েই উত্তেজনা বাড়তে থাকে গোটা দেশে।
কারা কারা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে ?
এদিকে ইতিমধ্যেই আবার গত ২৬শে জুলাইয়ের ঘটনায় মৃতদের আত্মার শান্তি কামনায় শোক প্রকাশ করছে মিজোরাম। পাশাপাশি ভারত সরকারের নিরপেক্ষ বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছে দুই রাজ্য। অন্যদিকে একাধিক মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক শীর্ষ স্থানীয় আমলা। বৃহঃষ্পতিবার সকাল ১১টার সময় শুরু হয় বৈঠক। মিজোরামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমি রাজস্বমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব। অন্যদিকে অসমের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অতুল বরা এবং অশোক সিঙ্ঘল।